কচুয়া

‘নির্বাচিত হলে সংযোগ সড়ক ও পৌরসভার প্রতিটি গলি সি-সি ক্যামেরার আওতায় আনবো’

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে কচুয়া পৌরসভা নির্বাচন। পৌরসভা নির্বাচনে এ বছর কচুয়ায় নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে সমর্থন পেয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ নাজমুল আলম স্বপন। তিনি কচুয়া পৌরসভাধীন করইশ গ্রামের অধিবাসী উপজেলা কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক কাউন্সিলর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী শুকু মিয়ার সুযোগ্য কনিষ্ঠ পুত্র।

ছাত্রজীবন থেকেই তিনি তৎকালীন ১৯৯৪-৯৫ সনে কচুয়া হযরত শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন এবং গত ৮ নভেম্বর কচুয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ কচুয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত একক প্রার্থী হিসেবে সমর্থন পেয়ে চমক সৃষ্টি করেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি কচুয়ার উন্নয়নের রূপকার, সাবেক দু’বারের সফল মন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র স্বপ্নের কচুয়া পৌরসভা গঠনে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা অনলাইন নিউজ পোর্টাল চাঁদপুর টাইমসের কচুয়া করেসপন্ডেন্ট জিসান আহমেদ নান্নু’র সাথে একান্ত আলাপকালে এসব কথা জানান।

এ সময় কচুয়া উপজেলা যুবলীগের এ সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী মোঃ নাজমুল আলম স্বপন বলেন, নেতৃত্ব আল্লাহ প্রদত্ত। আল্লাহ যাকে পছন্দ করেন, তাকেই নেতৃত্ব দেন। আমার বিশ্বাস ও আস্থার ঠিকানা, প্রিয় নেতা ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র সার্বিক সহযোগিতায় আমি এ পর্যন্ত পৌছেছি। তাই আল্লাহর কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপনের পাশাপাশি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’কে লাখো সালাম ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যতদিন বাঁচবো আমার সামর্থ অনুযায়ী জনগণের পাশে থেকে সেবা করে যাবো।

তাছাড়া নাজমুল আলম স্বপন আরো বলেন, ১৯৯৮ সালে তৎকালীন সময়ে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি প্রতিমন্ত্রী থাকাকালিন যে স্বপ্ন নিয়ে কচুয়া পৌরসভা গঠন করেছিলেন তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি। বিশেষ করে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী নির্বাচিত না হওয়ায় একদিকে যেমন জনগণের শতভাগ আশা-আকাংঙ্খা পূরণ হয়নি তেমনি দলীয় নেতাকর্মীরাও মূল্যায়ন পায়নি।

তবে কচুয়া পৌরসভার জনগণের শতভাগ সেবা নিশ্চিত করার স্বপ্ন আমি দীর্ঘদিন থেকে লালন করছি। কচুয়া পৌরসভা বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। বর্তমান মেয়র হুমায়ুন কবির প্রধান জনগণের আশানুরূপ উন্নয়ন প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, পৌরবাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও ব্যবসায়ীদের নেতা নির্বাচনে কমিটি গঠন করতে পারেনি। আমি আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হলে কচুয়া বাজারের চারিদিকে প্রবেশের সংযোগ সড়ক মেরামত, বাজারের প্রতিটি গলিতে সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি বন্ধ, দূরের লোকজনের বাজারে আশা যাওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করবো এবং সকলকে নিয়ে মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়নের হাত প্রসারিত করবো। আমার বিশ্বাস জনগণ ও দলীয় নেতা কর্মী আমার সঙ্গে আছে। জনগণের শক্তি নিয়ে নির্বাচনে আমি মেয়র নির্বাচিত হবো ইনশাল্লাহ।

জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া করেসপন্ডেন্ট

 

|| আপডেট: ১০:৪৪ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫, রোববার

এমআরআর  

Share