‘সবাই মিলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার’

শান্তিপূর্ণ ও অহিংস ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে চাঁদপুরে মাল্টি-পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (ম্যাফ)-এর উদ্যোগে রাজনৈতিক সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের নিচতলায় আয়োজিত এই সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত এমপি প্রার্থী ও নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সংলাপে বক্তারা বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নয়, বরং দেশের আপামর জনগণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রত্যাশিত। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে হলে রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং নাগরিক সমাজের সম্মিলিত ভূমিকার কোনো বিকল্প নেই। জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, রাজনৈতিক সম্প্রীতি ও অহিংসা বজায় রাখতে সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য শুধু বক্তব্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নাগরিক সমাজের সামনে একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেওয়াই এই সম্প্রীতি সংলাপের মূল উদ্দেশ্য। সবাই মিলে অহিংসা, পারস্পরিক সম্মান ও সহনশীলতার চর্চার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন তারা।

চাঁদপুর মাল্টি-পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি মুনির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি দেওয়ান মো. সফিকুজ্জামান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ও চাঁদপুর-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী অ্যাড. শাহাজাহান মিয়া, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাঁদপুর জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মো. মাহবুব আলম, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত চাঁদপুর-৩ আসনের এমপি প্রার্থী শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কাজী রাসেল, গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত চাঁদপুর-৩ আসনের এমপি প্রার্থী মো. জাকির হোসেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাঁদপুর জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী তামিম খান প্রমুখ।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের কনসালটেন্ট রুবাইয়াত হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ম্যাফ-এর সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল কুমিল্লা অঞ্চলের রিজিওনাল ম্যানেজার আবুল বাশার।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা রাজনৈতিক সম্প্রীতি স্মারকে স্বাক্ষর করেন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের ঘোষণা দেন।

এই সম্প্রীতি সংলাপে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, যুবসমাজ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ইউকেএইড-এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত বাংলাদেশ স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল একাউন্টিবিলিটি ফর সিটিজেন এমপাওয়ারমেন্ট (বি-স্পেস) প্রকল্প এই উদ্যোগে সহায়তা প্রদান করেছে।

স্টাফ রিপোর্টার/
২৩ ডিসেম্বর ২০২৫