বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার- নির্বাচন নির্বাচন খেলা আর হবে না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন হতে হবে।’ দেশে সুষ্ঠু ভোট হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না।
২ অক্টোবর শনিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো জনসমর্থন নেই। রাজনৈতিকভাবে তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা জানে দেশে যদি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাতে তারা ৩০টি আসনও পাবে না।’
‘এ কারণে তারা সব রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়করণ করছে। বিচার বিভাগ, প্রশাসন এমনকি গণমাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে’ যোগ করেন তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্লোগান দিয়ে আন্দোলন হবে না। আন্দোলনের জন্য তৈরি হতে হবে, প্রস্তুত হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে যারা তরুণ আছে, তাদের অনেকের আন্দোলন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই। এখানে খায়রুল কবির খোকন, আমান উল্লাহ আমনরা যারা আছেন, তারা জানেন কীভাবে আন্দোলন করতে হয়। সেটাকে মাথায় রেখে আমাদের সবগুলো সংগঠনকে সেভাবে তৈরি করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলে বিএনপি নাকি হরতাল ও জ্বালা-পোড়াও পার্টি। হরতাল, জ্বালা-পোড়ায় আওয়ামী লীগের যে রেকর্ড তা কেউ কোনো দিন অতিক্রম করতে পারবে না। ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছে। মানুষ পুড়ে মেরেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় এসেছে এবং সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতাকে দখল করে আছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শেষ কথা- আমরা কোনো নির্বাচন মনে নেব না যদি নিরপেক্ষকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার না থাকে। তাই আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এবং এই দানবকে সরিয়ে দিই। শত্রু মুক্ত বাংলাদেশ ও গণতন্ত্র সৃষ্টি করি।’
‘২০০১ সালের ১ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সর্বশেষ নিরপেক্ষ নির্বাচন’ শীর্ষক বিএনপি আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের নেত্রী হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।
বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে সভায় বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজউদ্দিন আহমেদ, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শিরিন সুলতানা, আজিজুল বারী হেলাল, হালিমা নেওয়াজ আরলী, রেহানা আখতার রানু, শাম্মী আখতার, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, আমিনুল হক, মীর নেওয়াজ আলী, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, রফিকুল আলম মজনু, এসএম জাহাঙ্গীর, ইয়াসীন আলী, আরিফা সুলতানা রুমা, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।