চাঁদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিআইপি জালাল আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. শামসুল হক ভূঁইয়া। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে তার প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলে টিকে গেলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল আহমেদ, নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থী হিসেবে তার আর কোনো বাধা নেই।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানির পর এই রায় দেন নির্বাচন কমিশন। আপিল শুনানিতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। উপস্থিত ছিলেন অন্য চার কমিশনারসহ ইসি সচিব।
এদিকে হলফনামায় সার্টিফিকেট সংক্রান্ত ‘মিথ্যা তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগ তুলে জালাল আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য দিতে ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তথ্যসহ আপিল শুনানি শেষে শুক্রবার নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিলো।
শুনানি শেষে বের হয়ে জালাল আহমেদের পক্ষের আইনজীবী বলেন, চাঁদপুর- (ফরিদগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. শামসুল হক ভূঁইয়ার আইনজীবী একটি অভিযোগ দাখিল করেন যে, জালাল আহমেদের সার্টিফিকেট ও জন্ম তারিখ সংক্রান্ত তথ্য গোপন করা হয়েছে। আজ কমিশন শুনানিতে ড. শামসুল হক ভূঁইয়ার আইনজীবীর কাছে জানতে চায় তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে কিনা। পরে তথ্য প্রমাণ না থাকায় জালাল আহমেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করে দেয় ইসি।
সিআইপি জালাল আহমেদ বলেন, আমি ফরিদগঞ্জের সকল শ্রেনী-পেশার মানুষের ভালোবাসাকে পূঁজি করেই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছি। জনগনের ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থন আমাদের সাথে রয়েছে। তাই কোন ষড়যন্ত্রই জনগণের ভালোবাসাকে ম্লান করা যাবে না।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান,১৫ ডিসেম্বর ২০২৩