সারাদেশ

তফসিল ঘোষণার পর এনআইডি সংশোধন করা যাবে না

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে সংসদ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সব ধরনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা দেয়া থেকে বিরত থাকবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি শাখা। ফলে তফসিল থেকে নির্বাচন পর্যন্ত প্রায় কমপক্ষে ৫০ দিন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, স্থানান্তর বিষয়ক সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সহকারী পরিচালক (মানব সম্পদ ও প্রশিক্ষণ) মোছাম্মদ সিরাজুর মনিরা চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে উল্লেখিত সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকার বিষয়টি বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তাই সকল অঞ্চলের অনিষ্পন্ন নথি সমৃহ নিস্পন্ন করার জন্য অফিস সময়ের পরও অতিরিক্ত সময় কাজ করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ইসির অফিস আদেশে আরো বলা হয়েছে, আগামী ১ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অফিস খোলা রেখে ভোটার তালিকার সিডি, স্থানান্তর আবেদন ও জাতীয় পরিচয় পত্রের সংশোধনের আবেদন সমৃহ নিষ্পন্ন করতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এবং আইডিইএ শাখা থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে আরো বলা হয়, আগামী ২ নভেম্বর প্রত্যেক অঞ্চল থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট কাজের একটি সমাপনী প্রতিবেদন প্রস্তুত করে পরিচালক (অপারেশন) এর কাছে দাখিল করতে হবে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম ব্যতিত অন্য সব ধরনের কার্যক্রম ১ নভেম্বর থেকে বন্ধ রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে নির্বাচনের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে আগামী ৩১ অক্টোবর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক করবে ইসি।

বৈঠকের পরদিন ১ নভেম্বর সিইসির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাৎতের পর ২ ও ৩ নভেম্বর সরকারি ছুটি থাকায় আগামী ৪ নভেম্বর কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওইদিন কমিশন সভা শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ৪ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হলে ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে, অর্থাৎ ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর, এই তিন দিনের যেকোনো একদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তবে এবারের নির্বাচন তফসিল ঘোষণার ৪৫ থেকে ৪৮ দিনের মধ্যে হবে বলে জানিয়েছেন ইসি কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, আগামী আগামী ৩০ অক্টোবরের পর ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বার্তা কক্ষ

Share