জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচনি প্রচারণা নিয়ন্ত্রণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে বসে ইসি।
সেখানে ইসির পক্ষ থেকে প্রচার নিয়ন্ত্রণে প্রস্তাব তোলা হয়। প্রস্তাবে প্রার্থীদের সমর্থন নেওয়ার পর সেগুলো তুলে ধরেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘প্রচারণার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে, ওয়ার্ডে একটা করে অফিস রাখতে পারবেন। এর বাইরে একেবারেই মাইক বাজাতে পারবেন না।’
পোস্টারের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘কমিশন নির্ধারিত ২১ জায়গায় পোস্টার টাঙাতে পারবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে অফিস করবেন, সেখানে পোস্টার টাঙাতে পারবেন। এর বাইরে কোথাও—রাস্তা, অলিতেগলিতে পোস্টার টাঙাতে পারবেন না। লেমিনেটেড পোস্টার টাঙানো যাবে না।’
আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে অন্যরানূরুল হুদা বলেন, ‘ঢাকা-১০ আসনের ভোটের দিন অফিস খোলা থাকবে। আমরা সার্কুলার জারি করে দেবো, যেন অফিস থেকে গিয়ে কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দল পাঁচটি শোভাযাত্রা করতে পারবে। যেখানে সুবিধা সেখানে শোভাযাত্রা করতে পারবে। তবে এই নির্বাচনে কোনও জনসভা করা যাবে না।’
সিইসি জানান, আগামীতে নির্বাচনি আচরণবিধি পরিবর্তন করে এই বিধিগুলো যোগ করা হবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ের জন্য আমরা বিধিই পরিবর্তন করে ফেলবো।’
তফসিলের তথ্য মতে, ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মোট ছয় জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন; তবে এখন পর্যন্ত কেউ জমা দেননি। আগামী ২১ মার্চ এই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে।
ঢাকা ব্যুরো চীফ