নিরাপদ চাঁদপুরের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ডিসি-এসপিকে স্মারকলিপি

চাঁদাবাজি, দখলদারি, মিথ্যা মামলা, হুমকি, জেলা বিএনপির সভাপতির নানান অনিয়ম ও হয়রানিমুক্ত ‘নিরাপদ চাঁদপুর’ চাই দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল রোববার ২২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে ছাত্ররা জমায়েত হয়। এসময়ে তারা ‘নিরাপদ চাঁদপুর’ চাই দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।

প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে যখন রাজপথে দৃশ্যমান, তখন ফ্যাসিবাদি সরকারের হাতে ছাত্র-জনতার বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বাংলাদেশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাসহ দৃশ্যমান রাজনৈতিক দেশপ্রেমী জনতার হাত ধরে জাগ্রত হয় নতুন বাংলাদেশের স্বাধীন পতাকা। তারই ধারাবাহিকতায় সংকটময় বাংলাদেশে বন্যা, ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ, অরাজকতা অস্থিতিশীলতা, গুজবের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে স্বাধীন বাংলাদেশের ছাত্র জনতা। যার কারণে চাঁদপুরেও ফিরে আসে দীর্ঘদিনের অস্বস্তিকর পরাধীন থাকা স্বস্তির আবাসনের পরিবেশ। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক কর্তৃক মামলা, হামলা, হয়রানি চাঁদাবাজি, দখলদারি, লুটতরাজ, মিথ্যা অভিযোগ, অপপ্রচার, বাঁধা, বিশৃঙ্খলা ও আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। যা ইতিমধ্যে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঁদপুরবাসী অবগত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, তার এ বেআইনি কুকর্মের গতি অব্যাহত থাকায় বিপন্ন হতে চলেছে চাঁদপুরের সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক স্বাভাবিক পরিবেশসহ বৈষম্যবিরোধী অবস্থান। এজন্যই কি ফ্যাসিবাদী সরকারের হাতে ছাত্র-জনতার বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল বাংলাদেশ।’

‘এসব ঘটনা দেশের বুলেটবিদ্ধ শত শত তাজা রক্তের সাথে বেইমানি ও গাদ্দারি ছাড়া আর কিছুই নয়। বরং কোটি তরুণের শ্রমে ঘামে ও রক্তে অর্জিত নতুন স্বাধীনতার পরিপন্থী।’

‘এমতাবস্থায় চাঁদপুরের স্বাধীনতাকামী ছাত্র সমাজ ও আপামর জনতার আস্থার আবাসস্থল চাঁদপুরকে ফ্যাসিবাদীর দালাল চাঁদপুর জেলা বিএনপি সভাপতির মামলা, হামলা, হয়রানি চাঁদাবাজি, দখলদারি, লুটতরাজ, মিথ্যা অভিযোগ, অপপ্রচার ও আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার মত অপরাধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও চাঁদপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ‘নিরাপদ চাঁদপুর’ দাবি করেন।’

এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সলিম উল্লাহ সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রেতাত্মারা নানাভাবে ইন্দন দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা জেলা বিএনপির সভাপতিকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে এ ষড়যন্ত্র। আমরা সহসাই নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ও প্রতিক্রিয়া জানাবো। তবে চাঁদপুরবাসিসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Share