বিজয় দিবস উদযাপনে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‌্যাব।

বুধবার ১৫ ডিসেম্বর র‌্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, জাতীয় প্যারেড স্কয়ার, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়লসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন হবে। সার্বিকভাবে সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে বিজয় দিবসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী,গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে র‌্যাবও বিজয় দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

বিজয় দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ইতোমধ্যে জারি করা সব ধরনের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক নির্দেশনা বাস্তবায়নে র‌্যাব ফোর্সেস কাজ করছে। পাশাপাশি মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে র‌্যাব কর্তৃক নিম্নবর্ণিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে—সারাদেশে র‌্যাবের গোয়েন্দা ও আভিযানিক কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

এছাড়াও ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানের আশে-পাশে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ইউনিফর্ম টহল বৃদ্ধি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইন নজরদারির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

র‌্যাবের টহল জোরদার করার পাশাপাশি দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডগ স্কোয়াড ও র‌্যাব বোম্ব স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

সারাদেশে ভিভিআইপি/ভিআইপি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনে গমনাগমনের স্থানসহ জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন স্থানে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা— যেখানে জনসমাগম বেশি হয় সেসব এলাকায় যাতে কোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড টিম ও ক্রাইম সিন ভ্যানকে কৌশলগত স্থানে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে।

সম্ভাব্য যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের স্পেশাল ফোর্স ও র‌্যাবের এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে।

যেকোনও্র ধরনের নাশকতামূলক ও সহিংস ঘটনা রোধকল্পে আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহপূর্বক প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও নিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

চলতি বছরের ২৬ মার্চ দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন একটি দুষ্কৃতিকারী চক্র অরাজকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হামলা ও নাশকতা চালায়। র‌্যাব গোয়েন্দা নরজদারি ও সাইবার নজরদারিরর মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

বৃহস্পতিবার ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কুচক্রী মহলের গুজব, অপপ্রচার ও অপতৎপরতা রোধে র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং সেলের সাইবার নজরদারি ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।

এছাড়া এ সময়ে যেকোনও প্রকার বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে স্থানীয় র‌্যাবের সহযোগিতা পেতে নিকটস্থ র‌্যাব অফিসে যোগাযোগ করার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা হলো।

বার্তা কক্ষ,১৫ ডিসেম্বর ২০২১
এজি

Share