নিরাপত্তাহীনতায় কমিউনিটি পুলিশের দু’পরিবার

হাজীগঞ্জে মাদক বিক্রেতাদের বাড়িতে পুলিশ সুপার যাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় কমিউনিটি পুলিশের দু’পরিবার

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর ৮নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরিবারের ১৭ সদস্য নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, পৌর এলাকা টোরাগড় ৮নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি পুলিশিং এর কমিটি গঠন হয় গত এক বছর পূর্বে। ওই কমিটির সভাপতি কবির হোসেন কাজী ও সাধারণ সম্পাদক মোবারোক কাজী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে টোরাগড় এলাকায় মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, দখলবাজী, চাঁদাবাজী,সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকালাপের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক লোকদের সহযোগিতায় নির্মূলের চেষ্টা করে আসছে। এসব কারণে বিভিন্ন সময়ে অপরাধীদের চোঁখে বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে বিভিন্ন সময়ে তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এসব অপরাধীদের চোখে টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত বুধবার রাতে কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি কবির ও মোবারক কাজী তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিডিয়ার সামনে তাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই বলে দাবি করে কয়েকজন মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসীর কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন।

গত ৮ মার্চ রাতে কাজী মোবারকের ছেলে রুবেল হোসেন গাইন বাড়ীর পুকুরের পানি ে চের সময় কাজী মিঠু ও তার ভাই কাজী দুলাল, কাজী বাদল, কাজী লিটন ও কাজী বাবুল বাড়ীর সামনে ও পুকুর পাড়ে তাকে বাধা দেয়।

টোরাগড় এলাকার কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোবারক বলেন, গত ৬ মার্চ চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার মাদক বিরোধী র‌্যালী নিয়ে কাজী বাড়ী আসেন। তারপর মাদক বিক্রেতাদের ঘরে ঘরে যান। এদের দাবি আমরা নাকি বাড়িতে এসপি স্যারকে এনেছি যে কারণে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।’

তিনি আরো বলেন, এসব রেশ ধরে মঙ্গলবার রাতে মিঠু কাজী আমার প্রাণ নেওয়ার চেষ্টায় প্রকাশ্যে পিস্তল বের করেছে। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যায় নিরীহ সাইফুল নামের এক ছেলেকে সন্ত্রাসী সাজিয়ে চাঁদপুর ডিবি পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে উঠিয়ে নেয় এবং পরে বলাখাল বাজারে এনে ছেড়ে দেয়। তাদের এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাক্ষী দেন টোরাগড় গ্রামের সেলিম, কিরণ মোল্লা, জয়নাল ও সোহাগ কাজী।

টোরাগড় এলাকার কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি কবির হোসেন বলেন, ‘আমাদের দুই পরিবারের ১৭ সদস্য এখন নিরাপত্তায় ভূগছে। মিঠু কাজীসহ তার ভাই মাদক ব্যবসায়ী কাজী দুলাল ও মাদক সেবীরা একজোট হয়ে আমাদের সামাজিকভাবে অপদস্ত করার জন্য চেষ্টা করছে।

অভিযুক্ত কাজী মিঠু বলেন, কাজী কবির হোসেনের সাথে আমার ভাই দুলাল কাজীর সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের কর্মকর্তা (সিপিও) ও থানা উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন বলেন, কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মাদক সেবীদের কাছে হয়রানি হচ্ছে এটা সত্য। ইতোমধ্যে ওই এলাকায় একটা মাদক নিমূর্ল কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ছাড়াও অন্যরা আমাদের সোর্স। অযথা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে হয়রানি করা ঠিক হবে না।

হাজীগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট ২:৪৬ এএম, ১১ মার্চ ২০১৬, শুক্রবার

ডিএইচ

Share