ব্যবস্থাপত্রে নিবন্ধনহীন ওষুধ লিখলে চিকিৎসকের শাস্তি প্রদানে আইন সংশোধনের প্রস্তাব রেখে ‘জাতীয় ওষুধনীতি-২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার ২৫ নভেম্বর সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শফিউল আলম বলেন,‘বর্তমানে আমরা ১২২টি দেশে ওষুধ রফতানি করি। তাই বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নতুন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। যার নাম হবে ন্যাশনাল রেগুলেটরি অথরিটি। এ কর্তৃপক্ষ ওষুধ নিবন্ধন ও কাঁচামাল নিশ্চিতকরণের কাজ করবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০০৫ সালে দেশে প্রথম ওষুধ নীতিমালা হয়েছিল। ১১ বছরে তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই নীতিমালা আপডেট করার জন্য এ নতুন আইনের প্রয়োজন হয়েছে। কারণ এরই মধ্যে ওষুধ শিল্পে অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশ অনেক দেশের স্বীকৃতি সনদ পেয়েছে।
আগের ওষুধনীতিতে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি করা হলে শাস্তি বিধানের বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা ছিল না। নতুন ওষুধনীতিতে বলা আছে, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর অন্তত একবার ওষুধের মূল্য হালনাগাদ করা হবে। জনগণের অবগতির জন্য সব ওষুধের খুচরা মূল্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
এছাড়া সভায়, ‘কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট আইন-২০১৬’, ‘নজরুল ইনস্টিটিউট আইন-২০১৬’, ‘জাতীয় ক্রিড়া পরিষদ আইন-২০১৬’এর খসড়ারও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বার্তা কক্ষ , ২৫ নভেম্বর ২০১৯