দেশে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বুধবার থেকে ফের গণটিকাদানে নিবন্ধন চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৭ জুলাই সকাল থেকে সুরক্ষা অ্যাপে দু’মাস পর আবারও নিবন্ধন কার্যক্রম উন্মুক্ত করে দেয়া হলো।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ডা.শামসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা.শামসুল হক বলেন,‘সুরক্ষা অ্যাপে আজ থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পঁয়ত্রিশ বছরের বেশি বয়সীরা এ টিকা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বাইশ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করতে পারবেন।’
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই টিকা সংকটে ৫ মে নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু,ভারতীয় কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় টিকা সংকট দেখা দেয়। ফলে বাধ্য হয়েই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টিকা নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
চুক্তি অনুযায়ী,প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা দেওয়ার কথা ছিল সেরাম ইনস্টিটিউট। তবে ৭০ লাখ পাঠানোর পর সিরাম আর টিকা দিতে পারেনি ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায়। অবশ্য কেনা টিকার বাইরে বাংলাদেশকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে ভারত সরকার।
ভারত থেকে টিকা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরই টিকার বিকল্প উৎসের সন্ধানে নামে বাংলাদেশ। চীন ও রাশিয়ার টিকা পেতে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। টিকা পাওয়ার জোরালো আশ্বাস মিলেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক নির্দেশনায় জানিয়েছে,এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫ লাখ ডোজ মডার্নার এবং চীন থেকে ২০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা তাদের হাতে পৌঁছেছে। অতি শিগগিরই সারাদেশের সকল সরকারি মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিটি করপোরেশনের নির্দিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে।
যে প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সুরক্ষা পোর্টালে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। ফোন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, নাম,জন্মতারিখের পাশাপাশি কোনো শারীরিক জটিলতা আছে কি না,পেশা কী তা-ও জানাতে হবে।
স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযুক্ত করে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। অ্যাপে তথ্য দিলে টিকার আপডেট সম্পর্কে গ্রহীতাদের এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ টিকা বিতরণ করতে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
বার্তা কক্ষ, ৭ জুলাই ২০২১