দেশে বিভিন্ন সময়ে নিত্যপণ্যের দাম উঠানামার মাঝেও ক্রয় রেটে গ্রাহকদের কাছে পণ্য বিক্রি করে আসছেন নগদ বাজার কর্তৃপক্ষ। ধারাবাহিক এ আয়োজনে সুফল পাচ্ছে মফস্বলের সাধারণ ক্রেতারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের মনতলা চালিয়াপাড়া এলাকায় এমন সুলভমূল্যের মুদি, কোকারেজ, প্রসাধণী সামগ্রীসহ প্রায় কয়েক শতাধিক পণ্য গ্রাহকরা এ নগদ বাজারে পাচ্ছেন। আর এসব পণ্যের মধ্যে বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালে গ্রাহকদের আগ্রহ বেশী। যে কারণে নগদ বাজার কর্তৃপক্ষ যখন বাজারে পেয়াঁজ কেজি প্রতি ৮০ টাকা ছিল তখনো ক্রয় রেটে ৫৫ টাকা বিক্রি করেছে। বর্তমানে ৩ কেজি পেয়াজের দাম ১০০ টাকা, ৩ কেজি আলুর দাম ১০০ টাকা এভাবে দৈনন্দিন নিত্যপণ্যের দাম কোন লাভ ছাড়াই শহরের বাজারের চেয়েও কম দামে বিক্রি করে আসছে নগদ বাজার কর্তৃপক্ষ।
বিশেষ করে সামনে কোরবানি ঈদের বিভিন্ন মসলা বিশেষ ছাড়ে বিক্রির অফার চলছে।
নগদ বাজারে ক্রেতা মাহবুবুর রহমান, বিল্লাল হোসেন, আব্দুস সাত্তার জানান, সত্যি নগদ বাজার থেকে আমরা অন্যান্য দোকানের তুলনায় কম দামে মালামাল নিতে পারছি।
এ বিষয়ে নগদ বাজারের পরিচালক কাজী জাফর সোহাগ বলেন, আমাদের উদ্দেশ্যে গ্রামের মানুষ যেন সুলভ মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারে। ইতিমধ্যে মনতলা, চালিয়াপাড়া, ডোমরা, দিগদাইর, জয়শরা, মানুরীসহ কয়েক গ্রামের মানুষ এ নগদ বাজার থেকে সীমিত দামে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করে আসছে। আমাদের এ নগদ বাজারের সুনাম ইতিমধ্যে ছড়িয়ে যাওয়ায় দূর দূরান্ত থেকেও সাধারন মানুষ ছুটে আসছে, আর এখানেই আমাদের সফলতা।
নগদ বাজারের প্রধান নির্বাহী স্বপ্নদ্রষ্টা ফয়েজ আহমেদ চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ২০২০-২১ করোনা মহামারির সময়ে নগদ বাজারের পক্ষ থেকে গ্রাগকদের মাঝে চাল, আটা, চিনি, তৈল, লবন, ডাল, পেয়াজ, রসুন, আদাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল সুলভ মূল্যে হোমডেলিভারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অবদান রেখেছে। সেই সুনাম অক্ষুন্ন রেখে নগদ বাজারের এক ঝাঁক তরুণ উদ্যোক্তা এ সুনাম ধরে রেখে এগিয়ে যেতে চাই । তাই আমাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে সকল গ্রাহকে কোরবানি ঈদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২৫ জুন ২০২৩