Home / জাতীয় / রাজনীতি / নিজ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কক্ষ ভাঙচুর করলেন উপমন্ত্রী জয়
নিজ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কক্ষ ভাঙচুর করলেন উপমন্ত্রী জয়

নিজ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কক্ষ ভাঙচুর করলেন উপমন্ত্রী জয়

নিজ মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম-সচিবের কক্ষ ভাঙচুর করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। রোববার সবিচালয়ে এ ঘটনা ঘটে। সবিচালয়ে সাত নম্বর ভবনের যুগ্ম-সচিব মো. মাশুক মিয়ার কক্ষে (৫০১ নম্বর কক্ষ) এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য ঘটনার সময় যুগ্ম-সচিব কক্ষে ছিলেন না।

সূত্র জানিয়েছে জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানের ব্যানারে নিজের নাম না দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে এ কাজ করেছেন জয়। তবে জয়ের দাবি- ভাঙচুর নয়, নিজের রুমে ডেকে যুগ্ম-সচিবকে ‘শাসিয়েছেন’।

ঘটনাটি স্বীকার করে ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব নূর মোহাম্মদ বলছেন, ‘ঘটনা খুবই লজ্জার। সচিবালয়ে আগে কখনো এমনটি হয়নি।’

সূত্র জানায়, রোববার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানের ব্যানারে অতিথি হিসেবে শুধু ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের নাম লেখা ছিল, জয়ের নাম ছিল না। নিজের নাম না দেখে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে চান তিনি। কিন্তু উপস্থিত কর্মকর্তাদের আশ্বাসে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েই সচিবালয়ে চলে আসেন উপমন্ত্রী। সচিবালয়ে সন্ধ্যায় বিষয়টি জয় নিজেও বাংলামেইলের কাছে ব্যক্ত করেন।

পরবর্তী ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়, সচিবালয়ে ফিরে লিটফ থেকে নেমে চিৎকার-চেমেচি করে বিভিন্ন কর্মকর্তাকে নাম ধরে গালাগালি করেন জয়। যুগ্ম-সচিব মাশুক মিয়ার কক্ষে গিয়ে টেবিলে লাথি মেরে কম্পিউটার ভাঙচুর করেন, কাগজপত্র তছনছ করেন। তখন মাশুক মিয়া কক্ষে ছিলেন না।

এ বিষয়ে মাশুক মিয়াকে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে কক্ষ ভাঙচরের বিষয়টি অস্বীকারে জয় বলেন, ‘মাশুক মিয়াসহ কয়েকজন যুগ্ম-সচিব আমার কথা শোনেনি। রুলস অফ বিজনেস অমান্য করেছে। তাই তাকে (মাশুক মিয়া) রুমে এনে শাসিয়েছি।’

জয় আরো বলেন, ‘এরা সবাই দুর্নীতিবাজ। এ সরকারের সাফল্যকে ম্লান করতে শুরু থেকে একটি অশুভ চক্র ষড়যন্ত্র করছে। তারাই কম্পিউটার ভাঙচুরের কুৎসা রটাচ্ছে।’ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তার কাছে কোনো নথি সইয়ের জন্যও পাঠান না বলে দাবি করেন জয়।

কক্ষ ভাঙচুরের বিষয়ে ক্রীড়া সচিব নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘মাশুক মিয়া বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন চাকরি করে এমন অপমান মানা যায় না। তাকে (মাশুক) রক্ষার দায়িত্ব আমার।’

উপমন্ত্রীর কাজে অসহযোগিতার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘এমন উদাহরণ নেই।’

অস্ত্রসহ মাঠে জয়
জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ছিলেন আরিফ খান জয়। ২০১২ সালে টিম কর্মকর্তা হিসেবে মাঠে একবার পিস্তল হাতে ঢুকে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। অবশ্য সেই অস্ত্রটির লাইসেন্স করা ছিল। তবে বৈধ হোক কিংবা অবৈধ যে কোনও অস্ত্র নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা ফিফার দৃষ্টিতে অবৈধ।

অবশ্য ম্যাচ চলাকালে মাঠে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের অপরাধে আরিফ খান জয়কে ১ বছরের জন্য স্থগিত দণ্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছিল বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। পরে শাস্তির ২১ দিনের মাথায় জয়ের স্থগিত দণ্ডাদেশ বহাল রেখে অর্থদণ্ড মওকুফ করে দেয়