Home / আন্তর্জাতিক / নিজের মেয়েকে যে কারনে বিয়ে করলেন বাবা!
নিজের মেয়েকে যে কারনে বিয়ে করলেন বাবা!

নিজের মেয়েকে যে কারনে বিয়ে করলেন বাবা!

নিজের মেয়েকে যে কারনে- নিজের ছেলে কিংবা মেয়ে বড় হওয়ার পর তাকে দেখেশুনে বিয়ে দেয়ার স্বপ্ন থাকে সব মা-বাবারই। একই রকম স্বপ্ন ছিল অ্যান্ডি বার্নার্ডেরও (৩১)।

নিজের ১৬ মাস বয়সী মেয়ে পপি মাই বড় হওয়ার পর তাকে দেখেশুনে বিয়ে দেয়ার স্বপ্ন ছিল তার। তবে এর মধ্যে ঘটে বসলো মর্মান্তিক এক দূর্ঘটনা।

চিকিৎসক জানালেন, তার মেয়ে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। বেঁচে থাকবে আর মাত্র দুই দিন। মেয়েকে বিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চাইলেন বার্নার্ড।

কিন্তু কে বিয়ে করবে এই মেয়েকে। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিলেন নিজেই বিয়ে করে মেয়েকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন তিনি।সহকর্মীরা তড়িঘড়ি করে বিয়ের ব্যবস্থা করলেন।

নিরানন্দ একটি ‘বিয়ে’ সম্পন্ন হলো বার্নার্ড আর পপির। পপিকে কনের সাজে সাজিয়ে দিলেন মা সাম্মি বার্নার্ড (২৯), বড় ভাই রাইল (৬) এবং জেনসন (৪)।

বার্নার্ড বলেন, ‘পপির জন্মের পর থেকেই আমি তাকে বলতাম, একদিন অনেক জাকজমক করে বিয়ে দেবো তার। কিন্তু এমনটা ঘটবে কখনো ভাবিনি।

চিরদিনের জন্য আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। তবে মেয়েকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চাইলাম আমি। এটা আমার জন্য কোনো বিয়ে নয়, কিন্তু ও একটি বিয়ের দিন পেলো।

১৪ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে পপি। তার মা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তারা জানায়, মস্তিষ্কে টিউমার হয়েছে পপির।খাবার দাবার সব বন্ধ হয়ে যায় তার।

সাম্মি জানান, এক পর্যায়ে পপির ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। বার্নার্ড যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় তিনি কাছে থাকতে পারেনি। ফোনে তাকে সবকিছু অবহিত করা হয়।

হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় পপিকে। কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে গেল। পপিকে বাড়ি নিয়ে যেতে বললেন চিকিৎসকরা।

জানালেন, আর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই পপির। মাত্র দুদিন বেঁচে থাকবে সে। তাই তড়িঘড়ি করে তার বাবা সিদ্ধান্ত নিলেন মেয়েকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে।

বিয়ের দিন অনেক কষ্টে জাগিয়ে রাখা হয় পপিকে। বারবার বাবার কাঁধে ঘুমিয়ে পড়ছিল সে। পপির মা সাম্মি বলেন, ‘আমি একটা পরী জন্ম দিয়েছিলাম।

কিন্তু সে আজ আমার কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আমি চাই মানুষ পপিকে মনে রাখুক।
(জুম বাংলা)

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ২৫ পি.এম, ১৭ ফেব্রুয়ারি২০১৮, শনিবার।
এএস.