Sunday, 05 April, 2015 03:07:55 PM
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
পুলিশের এক নারী সদস্যের প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন স্ত্রীকে হত্যার দায়ে পলাতক আসামি সুমন (৩০)। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নারী পুলিশ সদস্য আনিকা চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে এসে কুমিল্লা বিশ্বরোড এলাকায় গ্রেফতার হন সুমন। পরে রাত ৮টার দিকে তাকে কমলনগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গেছে, যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী রাশেদা বেগমকে গলা কেটে হত্যার পর গত ৯ মার্চ থেকে পলাতক ছিলেন সুমন (৩০)। অনেক চেষ্টা করেও তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছিলো না। অবশেষে অভিনব এই উপায়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
কমলনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী রাশেদা বেগমকে রাতে (২৪) গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান। তিনি কুমিল্লা জেলার কচুয়ার পাতুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
তিনি বলেন, অনেক চেষ্টা করেও যখন দেখা গেল তাকে আর গ্রেফতার করা যাচ্ছে না তখন তাকে ধরতে পুলিশ সদস্য আনিকা চক্রবর্তীকে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পাতা হয়। তিনি এই ফাঁদে পা দেন। তাদের মধ্যে প্রতিদিন মোবাইল ফোনে কথা হতো। এভাবে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক গভীর হয়ে উঠলে সুমন আনিকার সঙ্গে দেখা করতে চান। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সুমন আনিকার সঙ্গে দেখা করতে কুমিল্লার বিশ্বরোড এলাকায় আসেন। আর সেখানেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন সুমন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির আহাম্মদ বলেন, আসামি সুমনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। তার সঙ্গে তার এক আত্মীয়ও আটক আছেন বলেও তিনি জানান।
গত ৯ মার্চ সোমবার গভীর রাতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা গ্রামের বাসিন্দা মৃত তাজল হকের মেয়ে রাশেদা বেগমকে (২৪) যৌতুকের জন্য স্বামী সুমন গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/2015