ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে ব্যানার খোলা নিয়ে আ’লীগ-বিএনপির উত্তেজনা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আ’লীগের সমাবেশস্থলের ২০ গজের মধ্যে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাঁটানো একটি ব্যানার পানিতে ফেলে দেওয়ার পর তা পূনঃরায় সাঁটানো নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়।

একপর্যায়ে এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতান্ডা হলেও বড় ধরনের কোন সংর্ঘষ হয়নি।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে ৩নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের তেলিসাইর গ্রামের হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে ইউনিয়ন আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠন।

দুপুরের পর থেকে সমাবেশস্থলে আ’লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। বিকাল ৫টার পর হঠাৎ করে সমাবেশ সংলগ্ন দোকানের সামনে বিএনপির ব্যানার নামিয়ে পুকুরে ছুড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে পরস্পর বিরোধী দু’দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্টগোল লেগে যায়।

এসময় আ’লীগের উপজেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের পদধারী বিভিন্ন পর্যায়ের ৫ শতাধীক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অরপদিকে বিএনপি সমর্থিত ২০/৩০ জন উত্তেজিত যুবককে ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

একপর্যায়ে বিএনপির ব্যানারটি পুকুরের পানি থেকে সাঁতরিয়ে তুলে পূর্বের স্থানে টানিয়ে দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে ওই ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মাও. শরাফাত উল্ল্যা উত্তেজিত বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করান।

ঘটনার প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যেই স্থানীয় এমপি ড. শামছুল হক ভূঁইয়া ইউনিয়ন আ’লীগের পূর্ব নির্ধারিত সভাস্থলে উপস্থিত হন এবং সভায় নেতারা তাদের বক্তব্যে উক্ত বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বিএনপি সমর্থক সাইফুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘ আ’লীগের বসানো তোরনের পেছনে পূর্ব থেকেই খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত আমাদের ওয়ার্ড বিএনপির একটি ব্যনারা টানানো ছিলো। কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই সমাবেশে আ’লীগের নেতাকর্মীরা তা খুলে পানিতে ছুড়ে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে পুণরায় তা লাগাতে গেলে আ’লীগের লোকজন বাধা দেয়। কিন্তু তাৎক্ষণিক আমরা ওই বাধা উপেক্ষা করে পানি থেকে ব্যানার তুলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সামনেই পূর্বের স্থানে তা টানিয়ে দেই। ’

সমাবেশে উপস্থিত উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘বিএনপির ব্যানারটি আমাদের লোকজন পানিতে ফালায় নি। তারা নিজেরাই নিজেদের ব্যানার পানিতে ফেলে আবার তা তুলে লাগাতে গিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে অহেতুক হইচই করেছে।’

এদিকে মাগরিবের নামাজের পর সভাস্থল থেকে ফেরার পথে রাস্তার স্থানীয় এমপিকে শুভেচ্ছা জানানো ব্যানার ফেস্টুন কে বা কারা ভাংচুর করে। পরে তা বিভিন্ন স্থানে ও বিলের পানিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ফরিদগঞ্জ
৫ অক্টোবর, ২০১৮

Share