মেয়েরা বেশ কিছু অদ্ভুত ধরণের কাজ করে থাকেন যা তারা সহসা প্রকাশ করতে চান না। বেশীরভাগ মেয়েদের মধ্যেই এই ধরণের অদ্ভুত কাজের প্রবণতা দেখা যায়। বলতে গেলে এইসকল কাজ মেয়েদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে। তবে সমস্যা হলো, যদি এইসকল কাজ সম্পর্কে কখনো প্রশ্ন করা হয় তবে কেউই স্বীকার করে নেন না। বরং তাদের কাজের পেছনে একগাদা বাহানা তৈরি করে ফেলেন। চলুন তবে দেখে নেই মেয়েদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অদ্ভুত রকমের কিছু কাজ।
(১)পোশাক নির্বাচন
অনেক পোশাক থাকলেও যে পোশাকটিতে দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে সেই পোশাকটিই বারবার পরার অভ্যাস থেকে অনেক নারীর। এর পেছনের কারণ শুধুমাত্র নিজেকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় দেখাতে চাওয়া।
(২)সঙ্গীর সাথে আচরণ
সঙ্গীর ওপর অনেক রেগে গিয়ে নিজের নানা কাজের মাধ্যমে রাগ প্রকাশ করেন মেয়েরা। কিন্তু সঙ্গী যদি জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি কি রেগে আছো?’ তখন তার উত্তর হয় ‘মোটেই না’।
(৩)আকর্ষণীয় পুরুষ নিয়ে ভাবা
আকর্ষণীয় কোনো পুরুষের সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকেই তিনি যেই হোক না কেন তাকে নিয়ে নানা দিবাস্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়ে থাকেন মেয়েরা। এমনকি তাদের নামের পেছনের অংশ নিজের নামের সাথে জুড়ে দিয়েও মজা পান।
(৪)সাজগোজের ব্যাপার
মেয়েরা যতোই বলুক না কেন তার সাজগোজ করতে ভালো লাগে না, জুয়েলারি পরতে ইচ্ছে করে না, কিন্তু মনে মনে ঠিকই কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন যেখানে মনের মতো করে সেজেগুজে এবং গহনা পরে থাকতে পারবেন।
(৫)প্রশংসা বাক্যhair1
প্রশংসা বাক্য শুনতে সকল মেয়েই পছন্দ করেন। এবং মনে মনে সব সময়ই চান তার কেউ প্রশংসা করুক। কিন্তু প্রশংসা বাক্যের উত্তরে কী বলা বা করা উচিৎ তা সম্পর্কে একেবারেই ধারণা রাখেন না মেয়েরা। সেকারণে কেউ তার প্রশংসা করলে বিব্রত বোধ করেন।
(৬)অযথা শপিং
মার্কেটে ঘোরাঘুরির সময় যে জিনিসটি নজরে পড়ে পছন্দ হলে হুট করে কিনে ফেলেন অনেক মেয়েই। কিন্তু বাসায় নিয়ে আবিষ্কার করেন তার এই জিনিসের কোনো প্রয়োজনই নেই। কিংবা জিনিসটি দোকানে যতোটা সুন্দর লাগছিল তা বাসায় নিয়ে আসার পর একেবারেই লাগছে না।
(৭)দেরি করে তৈরি হওয়া
কোনো অনুষ্ঠান বা পার্টিতে যাওয়ার পোশাক আশাক সাজগোজ সব কিছু নিয়ে সারাটা সময় ভাবতে থাকেন ও এই ভাবা দিয়েই সময় পার করে ফেলেন। এবং শেষ মুহূর্তে সাজগোজ করতে গিয়ে তাড়াহুড়োয় সব ভজঘট পাকিয়ে দেরি করে ফেলেন।