নারীদেহের স্পর্শকাতর অঙ্গের দাগ দূর করার উপায়

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১১:৫৪ অপরাহ্ন, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, শনিবার
দেহের স্পর্শকাতর গোপন অঙ্গ কোনগুলি? বগল, দুই থাইয়ের মধ্যবর্তী স্থান, প্রজনন অঙ্গ, হিপ, কোমরের ভাঁজ৷ এই সমস্ত অংশে কালো দাগ খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। পোশাকের ঘর্ষণ থেকে শুরু করে লোম পরিষ্কার, নানা কারণে এসব স্থানে কালো দাগ হয়৷
যাদের ওজন একটু বেশি, তাদেরকে অনেক বেশি মুখোমুখি হতে হয় এই সমস্যার। এই অবস্থায় কী করবেন? যেহেতু এসব অঙ্গের যত্ন নিয়ে কেউ পার্লারে যেতে চান না৷ এখানে সব ধরণের পণ্য ব্যবহার করা যায় না, তাই জেনে নিন পাঁচটি দারুণ ঘরোয়া উপায়। অল্প সময়েই চলে যাবে স্পর্শকাতর অঙ্গের কালো দাগ!
শসার রস
শসার রস যে কোন স্পর্শকাতর অঙ্গের দাগ দূর করার জন্য দারুণ উপকারী। এতে ত্বকের ক্ষতির কোন সম্ভাবনাই থাকে না। শসার রস লাগিয়ে রাখুন ২০/২৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন ব্যবহারেই উপকার পাবেন।
আলু
আলু রস লাগানো একটু ঝামেলার হলেও এটি উপকারী শসার রসের চাইতেও বেশি। আক্রান্ত স্থানে আলুর রস লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটাও ত্বকের কোন ক্ষতি করে না।
লেবুর রস
লেবুর রস হচ্ছে প্রাকৃতিক ব্লিচ। কিন্তু এটি সরাসরি স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যবহার না করাই উচিত, ত্বকে হতে পারে জ্বলুনি ও র‍্যাশ। লেবুর রসের সঙ্গে শসার রস ও এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। তারপর একে লাগান আক্রান্ত স্থানে। লেবুর ও হলুদ দাগছোপ দূর করবে আর শসা রক্ষা করবে ত্বককে। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার সময় সাবান দেবেন না।
দুধ ও মুলতানি মাটি
কাঁচা দুধের সঙ্গে মুলতানি মাটি ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক মুখেও ব্যবহার করতে পারেন।
দই ও হলুদ

দইয়ের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ, সামান্য লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি স্ক্রাবের মত ঘষে ঘষে লাগান, তবে খুব হালকা হাতে। তারপর রেখে দিন ২০ মিনিট। ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা জল দিয়ে।
টিপস
# যে কোন প্যাক লাগাবার পরই স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যবহার করবেন খুব ভালো কোন ময়েশ্চারাইজার।
# এসব অঙ্গে নানান রকম রঙ ফর্সা করার ক্রিম মাখতে যাবেন না কখনই।
# খুব মাইলড পণ্য ব্যবহার করুন এসব অঙ্গে। বডি স্প্রে বা ডিওডোরেন্ট কখনই সরাসরি স্প্রে করবেন না।
# নিয়মিত স্নান করুন এবং সেই সময়ে পরিষ্কার করুন। এবং ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান প্রতিদিন।

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫

Share