চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণপুরে ইউনিয়নে মেঘনা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নামের ভুয়া সংস্থা প্রতারণার ফাঁদ পেতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের নাম করে নারীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।
এমন ভুয়া সংস্থাটির পরিচয় এবং নাম ঠিকানা না জেনে যাচাই বাচাই না করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অনুমতি না নিয়েই প্রশিক্ষণের জন্য স্থান দিলেন আমিরাবাদ জি কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এমন প্রতারণার শিকার হয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা।
তিন মাস প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা থাকলেও মাত্র দু’দিন প্রশিক্ষণ দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় এ সংস্থাটি। এছাড়াও সনদপত্র এবং সেলাই মেশিন দেয়াসহ যে সকল প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং সর্ত দিয়ে নারীদের প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি করা হয়েছে তার কোন কিছু কর্মকান্ড না করে মাত্র দু’দিনেই প্রতারণার শিকার হন প্রশিক্ষণার্থীরা।
প্রশিক্ষনের জন্য ভর্তি হওয়া ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের স্বপ্না আক্তার, শামীমা নাসরিন, সীমা আক্তার, শিল্পী বেগম, তাসলিমা বেগমসহ একাধিক নারী জানান, মেঘনা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নামে একটি সংস্থা দর্জি, ব্লক বাটিক ও মাশরুম প্রশিক্ষণের নাম করে তিন মাসের কোর্সে ভর্তি আবেদন ফরম বাবদ প্রথমে তাদের কাছে জনপ্রতি ৩০ টাকা করে নেন। পরবর্তীতে তারা ভর্তি ফি বাবদ দু’শ ৫০ টাকা করে নেন।
এভাবে তারা প্রায় এক, দেড়শ নারী ভর্তি হন।
সপ্তাহের শুক্র ও রোববার দু’দিন ক্লাস করার কথা। এভাবে তিন মাসের জন্য তারা ভর্তি হন। তারা জানায় গত ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি দু’দিন সংস্থাটির কর্মকর্তা শুভ প্রদশর্নী মূলক ক্লাস করান।
পর তাদের আর কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। এমনকি তাদের ব্যবহৃত ০১৯১৩৩৫৮৭৬২, ০১৭৭৬৭৪৫৭৪৯, নম্বরে কল প্রতিদিন একাধিকবার কল দিলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
তাই ভুক্তভোগীদের অভিযোগ যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও এর সাথে সমপৃক্ত রয়েছেন। তা না হলে কেনো তারা সঠিক নাম ঠিকানা ছাড়া একটি সংস্থাকে তাদের প্রতিষ্ঠানে স্থান দিবেন।
এ ব্যাপারে আমিরাবাদ জি কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাবারুক উল্যাহর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘মেঘনা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নামের সংস্থাটি ভুয়া কিনা জানিনা, তবে তাদের দেয়া একটি লিপলেটে সরকার অনুমোদিত, রেজিঃ নং ( পিএফ- ৭৬৮) লেখা রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গ্রামের মানুষের উপকারে জন্য সরল মনে তাদেরকে স্থান দিয়েছি। আমরা তো প্রথমে বুঝতে পারিনা এখন যখন আমাদের ফোন ধরছে না তখন বুঝতে পারছি এটা তাদের প্রতারণা। সঠিক নাম পরিচয় বিহীন একটি ভুয়া সংস্থাকে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেয়া ঠিক হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের স্থান দেয়া আমার নিয়মের মধ্যে পড়ে।’
প্রতিবেদক-কবির হোসেন মিজি
।। আপডটে,বাংলাদশে সময় ১১ : ০০ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার
এইউ