রাজনীতি

নারীদেরকে পুলিশে আসার পরামর্শ

সচেতনতা ও নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য নারীদের বেশি বেশি করে পুলিশে আসার পরামর্শ দিয়েছেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিকুল ইসলাম।

‘নারী ও শিশু নির্যাতন, হত্যা, অপহরণ-প্রতিকার এবং প্রতিরোধ’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই পরামর্শ দেন সমাজ কল্যাণ সচিব।

শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিভিন্ন পর্যায়ের নারীদের অংশগ্রহণে এই সেমিনারে সমাজ কল্যাণ সচিব বলেন, আপনারা যারা এখানে আছেন, নারীদের বলবেন, ‘পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করো।’ যাতে তাদের ক্ষমতা তারা প্রয়োগ করতে পারেন।

পাঠ্যপুস্তকে নারী নির্যাতন বিরোধী বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে জানিয়ে তারিকুল ইসলাম বলেন, পাঠ্যবইয়ে এসব বিষয় বলে দেয়ার চেষ্টা করেছি। আগামী বছরের পাঠ্যবইয়ে বিষয়গুলো আসবে।

‘স্কুলে এসব বিষয় আলোচনা করতে শিক্ষকরা ‘হ্যাজিটেড’ ফিল করেন’ বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, প্রতিবাদ গুরুত্বপূর্ণ, তা নাহলে উত্যক্তকারী সাহস পেয়ে যায়।

তবে শুধু সরকার একা নয়, স্বেচ্ছাসেবী এবং এনজিও সংগঠনগুলোকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সমাজ কল্যাণ সচিব।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারী নিগৃহের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে না পারায় পুলিশ ‘হ্যাপি’ নয়।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে যারা সংশ্লিষ্ট ছিল, তাদের ছবি মিডিয়াতে দিয়েছি। ধরতে না পারার ব্যর্থতা… পুলিশ কিন্তু ‘হ্যাপি’ নয়। আমরা চাপ ফেল করছি।

২০০৮ থেকে মামলাগুলো পর্যালোচনা করে কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, এখন খুব বেশি মামলা হচ্ছে না। আদালত থেকে কম মামলা আসছে। থানায় বেশি মামলা হচ্ছে। তার মানে থানা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। মামলাগুলো যৌতুক ও নির্যাতন বিষয়ে হয়।

আমরা সত্যিকার অর্থে নারী এবং শিশুবান্ধব পুলিশ হতে চাই, বলেন পুলিশের এই যুগ্ম-কমিশনার।

মহিলা ও শিশু অধিদপ্তরের মাল্টি সেক্টরাল প্রজেক্টের পরিচালক ড. আবুল হোসেন, মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী, কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারের আয়োজক নারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি লুৎফুন্নেসার সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল হক সরকার।

নিউজ ডেস্ক  ।। আপডেট : ০২০০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫, শনিবার

ডিএইচ

Share