ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না বাজারে সন্ধানী মাল্টি পারপাস সংস্থা নামে একটি এনজিওর মালিকের সাথে নারীকর্মীর অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ মালিক মনিরুলকে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, এনজিওর মালিক মনিরুল কালীগঞ্জের সিংদহ গ্রামের হেকমত আলীর ছেলে। গান্না বাজারে প্রায় ৫ বছর ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প চালিয়ে আসছে। একই উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে ডাঃ আজাদুর রহমানের বাড়ীতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকে।
চার হাজার টাকা বেতনে তার এই এনজিওতে দু‘জন নারী কর্মীকাজ করতো। এদের একজন নারী কর্মীর সাথে মনিরুলের প্রেমের সম্পর্ক থেকে অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই নারী কর্মী সুমি গান্না গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালকেরর মেয়ে।
সুমির বাবা তাকে বিয়ে দিতে চাইলে, সুমি আত্মহত্যা চেষ্টা চালায়। তখনি এলাকায় তাদের প্রেমের সম্পর্কটি ছড়িয়ে পড়ে এব স্থানীয় আ. কুদ্দুস ও হাসান আলী বেশ কিছু টাকা মনিরুলের কাছ থেকে আদায় করে।
এর কিছু দিন পর কোঁটচাদপুরে বিয়ে হয় সুমির।
কিন্তু বুধবার দুপুরে সুমি তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসলে মনিরুল তাদের বাড়ি গিয়ে পৌঁছে। এসময় গ্রামের লোকজন মনিরুলকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয় ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে মনিরুল ইসলাম। মনিরুল ইসলাম প্রায় চার বছর ধরে নারী কর্মী দিয়ে গান্না বাজারে এনজিও ব্যবসা করে আসছে।
বেতাই চন্ডিপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, মনিরুল ইসলাম এই মেয়ের সাথে দীর্ঘ দিন যৌন সম্পর্ক করে আসছে।
তার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও তার লালসা পূরণ করতে তার বাড়ী গেলে আমরা তাকে আটক করি।