মতলব উত্তর উপজেলা ও চাঁদপুর জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়া জামাই সুজন সুস্থ হয়ে এখন বাড়ি ফিরেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.নুশরাত জাহান মিথেন।
শুক্রবার ঢাকার কুর্মিটলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে ঢাকার কুর্মিটলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে শুক্রবার তার নমুনা সংগ্রহে করোনা রিপোর্টে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) নেগেটিভ আসে। সে এখন সম্পন্ন সুস্থ। সেজন্য হাসপাতাল কর্তপক্ষ তাকে শুক্রবার বিকেলে ছুটি দিয়ে দেন।
ওই দিনই মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের হানিরপাড় তিনি তার শ্বশুর বাড়িতে উঠেন। বর্তমানে তিনি তার শ্বশুর বাড়িতেই রয়েছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য নারায়ণগঞ্জ থেকে গত ৫ এপ্রিল চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের হারিপাড় গ্রামের তার শ্বশুর বাড়িতে করোনার উপসর্গ (জ্বর.সর্দি,কাশি) নিয়ে বেড়াতে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনদের তার মধ্যে করোনার উপসর্গ সন্দেহাতীত হওয়ায় তাকে গত ৬ এপ্রিল মতলব উত্তর উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসরা তার নমুনা সংগ্র করে ঢাকায় পাঠায়।
৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার জামাই সুজনের করোনার (কোভিড-১৯) জামাই সুজনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
এটিই ছিলো চাঁদপুর জেলায় এবং মতলব উত্তর উপজেলায় প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী প্রথম করোনা রোগী।
জামাই সুজন (৩২) এর বাড়ি রংপুর। সে নারায়ণগঞ্জের বন্দর একটি বেসরকারি কারখানায় চাকুরি করতেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে গত ৫ এপ্রিল মতলব উত্তরের হানিরপাড় তার শ্বশুর বাড়িতে ফেরেন। তার শ্বশুরের নাম (প্রকাশ করা হলো না)।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.নুশরাত হাহান মিথেন জানান, প্রথম করোনার রোগী সুজন সুস্থ হয়ে বাড়ি এসেছেন তার শ্বশুর বাড়িতে এটা জানতে পেরেছি। সে এখন সুস্থ রয়েছে। এদিকে মতলব উত্তরে সর্বদা চিকিৎসা সেবাদিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.মেহেদী হাসানসহ যেসকল করোনা রোগী ঢাকায় পাঠানো হয়েছিলো তারা সবাই এখন সুস্থ্য রয়েছেন বলে জানান।
প্রতিবেদক:কামাল হোসেন খান,১৮ এপ্রিল ২০২০