নারায়ণগঞ্জে ভোটের লড়াই শুরু

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়; একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারের সংখ্যাই বেশি চোখে পড়ছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে এবার ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রের এক হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

ভোটের মাঠে মেয়র পদে ছয়, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জনসহ মোট ১৮৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং হাতি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের মধ্যে।

এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও ২০১১ সালে প্রথম নাসিক নির্বাচনে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ছিলেন বিএনপি প্রার্থী। আর তখন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। যদিও ওই নির্বাচনের আগের রাতে হঠাৎ করেই দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এবারের নাসিক নির্বাচনে ১৯২টি ভোটকেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৬ সদস্য।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানান, নারায়ণগঞ্জে আদালাভাবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই, সবগুলো কেন্দ্রকেই বিশেষ বিবেচনায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

১৯২টি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন এসআইয়ের নেতৃতে রয়েছেন পাঁচ পুলিশ সদস্য। এছাড়াও আটজন পুরুষ ও চার নারী আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, নাসিক নির্বাচনে পুলিশের ২৭টি ইউনিট স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। এছাড়াও পুলিশের মোবাইল টিম রয়েছে ৬৪টি, প্রতি টিমে সদস্য রয়েছে পাঁচজন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৪ প্লাটুন সদস্য রয়েছে।

নাসিক নির্বাচনে র‌্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্ন রয়েছে তিনটি, চেকপোস্ট রয়েছে ছয়টি, টহল টিম রয়েছে সাতটি ও স্ট্যাটিক টিম রয়েছে দুটি।

মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী হলেন- খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস এবং বাংলদেশ আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী।

গত ৩০ নভেম্বর এই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন। ২০১১ সালে সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এবার এই সিটিতে এটি তৃতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

২০১১ সালে প্রথমবার নাসিক ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএমে, বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬ সালে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে এবার প্রথমবারের মতো সব কেন্দ্রে ভোট হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন, ইভিএমে।

Share