শাহরাস্তি

জরুরি বিভাগে ডিউটি ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টায় হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই দিন রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার নিজ মেহার পশ্চিম মৃধা বাড়ির মৃত আবদুর রশিদের পুত্র দিদার মৃধা (৩৮) বুকের ব্যাথা অনুভব করলে তাকে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জরুরী বিভাগে নেয়ার দায়িত্বে থাকা কোন ডাক্তার না থাকায় তার চিকিৎসা ব্যহত হয়। এক পর্যায়ে কর্মরত ডাক্তার আতিকুর রহমান এসে রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে ভর্তি করে তিনি চলে যান।

হাসপাতালে ইসিজি মেশিন থাকলেও লোকের অভাবে রোগীর বুক ইসিজি করতে পারেনি। রোগী অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রোগীর পরিবার ডাক্তারের সাথে আলাপ করলে রোগী ভালো আছে বলে জানান তিনি।

এ অবস্থায় রাত সাড়ে ১০ টায় রোগীর মৃত্যু ঘটে।এ ব্যাপারে মৃত দিদারের ভাই শাহজাহান মৃধা বলেন, আশংকা জনক অবস্থায় দিদারকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। আসার পর জরুরী বিভাগে কোন ডাক্তার ছিলনা। প্রায় ৪৫ মিনিট পর একজন ডাক্তার আসেন। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ভর্তি করে চলে যান। রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার আতিকুর রহমানকে অবহিত করলে তিনি জানান রোগী ভালো আছে।

তিনি আরও বলেন, ডাক্তারের অবহেলাই তার মৃত্যুর কারন। এছাড়া হাসপাতালে কর্মরত সকল কর্মচারী বিনা টাকায় কোন কাজ করে না। অসহায় রোগী পরিবার তাদের কাছে জিম্মি। এহেন অবহেলার দরুন অসহায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারীতার মাধ্যমে সুষ্টু বিচারের দাবি জানান তিনি।

কর্তব্যরত ডাক্তার আতিকুর রহমান বলেন, আমি রোগীর যথাযথ চিকিৎসা দিয়েছি । অভিভাবকের সম্মতি অনুযায়ী তাকে ভর্তি প্রদান করি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। যার জন্য কোনো ভাবেই ডাক্তার দায়ী নন বলে তিনি জানান।

এদিকে মৃত্যুর খবর শুনে মুহূর্তেই হাসপাতালে মৃত দিদারের পরিবার-পরিজন ও আশ পাশের লোকজন হাসপাতালে ভিড় জমান।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশ ছুটে আসেন। এসময় ওসি তদন্ত মোঃ শহিদুল ইসলামের সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুদ্ধ জনতাকে সান্ত্বনা দিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হন। পরে মৃত দিদারের পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেয়া হয়।

প্রতিবেদক- মো. মাহবুব আলম

Share