শৈশবে অভাব অনটনে বেড়ে উঠেছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এমনকি সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের বেতন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় নাম কাটা পড়েছিল।
শনিবার (০১ অক্টোবর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন অডিটরিয়ামে ‘সমাজ পরিবর্তনে যুব সমাজের ভূমিকা ও গান্ধী দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নিজের জীবনের কষ্টের দিনগুলির কথা এভাবেই ব্যক্ত করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
মহাত্মা গান্ধীর ১৪৭তম জন্মজয়ন্তী ও আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমার জীবন অনেক কষ্টের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। দারিদ্র জয় করেই আমি মন্ত্রী হয়েছি। সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার সময় বেতন দিতে পারিনি। যে কারণে আমার নাম কাটা পড়েছিল।
‘এসএসসি পরীক্ষার ফর্ম পূরণের সময় টাকা দিয়ে পাশের বাড়ির একজন দিয়ে সহায়তা করেছিল। আমি সংগ্রাম করেই এই পর্যন্ত এসেছি। মানুষ ইচ্ছা করলে সব কিছুই পারে। জীবনে অসম্ভব বলতে কিছু নেই।’, যোগ করেন মন্ত্রী।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, সামনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাত দশমিক ২০ থেকে সাত দশমিক ২৫ করে দেখাবো। সিপিডি যাই বলুক না আমরা অর্জন করে দেখাবো। আমরা প্রবৃদ্ধি নির্ণয় করতে কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং করি না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, সমাজ পরিবর্তনে গান্ধী দর্শন জরুরি। দেশের সকল যুব সমাজ যদি নিজেকে গান্ধী দর্শনে আত্ম নিয়োগ করে তবে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। দেশে শান্তি, অহিংসা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রসারে গান্ধী দর্শন অবদান রাখবে। গান্ধী শুধু ভারত ও বাংলাদেশের নয় সমগ্র বিশ্বের।
গান্ধী ট্রাস্টের সভাপতি ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্যের সভাপতিত্ত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- ইউএনডিপি বাংলাদেশ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর নিক বেরেসফোর্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাকশান্দ, টিচ ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মায়মুনা আহমেদ প্রমূখ।(বাংলা নিউজ)
নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ৮:৪১ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৬, শনিবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur