Home / চাঁদপুর / ইব্রাহীমপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে একাধিক সমস্যা নিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা
ইব্রাহীমপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে নানা সমস্যা নিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা

ইব্রাহীমপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে একাধিক সমস্যা নিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা

ঔষধ সল্পতাসহ নানাবিধ সমস্যা নিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে ফতেজংপুর কমিউনিটি ক্লিনিক।

সোমবার (১৭ জুলাই) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে ক্লিনিকে ভিড় করেন।

চারাদিকে নদীঘেরা এ ইউনিয়নের মানুষগুলোর মধ্যে মাসে ৭ থেকে ৮শতাধিক রোগীকে সেবা দিয়ে আসছে এ ক্লিনিকটি।

‘জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ’ এ স্লোগানকে ধারণ করে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান কাশেম খানের দানকৃত জমিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে স্থানীয় সাংসদ ডা. দীপু মনি এমপি ক্লিনিকটি উদ্বোধন করেন।

এর পর থেকে চরাঞ্চলের অসহায় মানুষগুলো শহরে না গিয়ে এ ক্লিনিকের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তবে প্রয়োজনীয় কিছু ঔষধ পর্যাপ্ত পরিমান সরবরাহ না হওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীদের।

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ফিরোজা বেগম, খুরশিদা বেগম, নাছিমা বেগম, রমিজ বেপারী, শাহানারা বেগম, জয়তুনসহ কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, এখন আর আমাদের চাঁদপুর গিয়ে সেবা নিতে হয় না। দীপু আপার জন্যই আমরা চরাঞ্চলের মানুষরা এ ক্লিনিকেই প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো পেয়ে থাকি।

তারা আরোও জানায়, আমরা চরাঞ্চলের মানুষ। সারাদিন মাটি পানির মধ্যে থাকি। মাঝে মাঝে পা চাবানোর, গ্যাষ্টিকের ,চুলকানি, পেচড়ার ঔষধ চাইলে তারা ভাল ঔষধ দিতে পারে না। এছাড়া অন্যান্য সেবাগুলো আমরা পাই।

ইউপি চেয়ারম্যান কাশেম খান জানায়, ইউনিয়নবাসীর চিকিৎসা সেবার জন্য আমি এ জমিটি কমিউনিটি ক্লিনিকের নামে দান করেছি।

ক্লিনিকের সিএইচসিপি (সেবাদানকারী) শাহানারা বেগম লাকী জানায়, এ ক্লিনিকটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে আমি এখানে সপ্তাহে ৬দিন চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি । আমি ছাড়াও স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী ২ জন সপ্তাহে দও’দিন চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। মাসে ৭ থেকে ৮শতাধিক রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। চিকিৎসা সেবা প্রদান করার কিছু কিছু সময় রোগ অনুযায়ী রোগীদের চাহিদা মত ঔষধ দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না।

তিনি আরোও জানান, ক্লিনিকটিতে ৩০ রকমের ঔষধ সরবরাহ করা হয়। এখানে সেবা নিতে আসা বেশির ভাগ রোগীরা হচ্ছে শিশুদের পুিষ্ঠহীনতা, মায়েদের সমস্যা, জ্বর, মাথাব্যাথা, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তবে চরাঞ্চল বিধায় চুলকানি, শরিরের বিভিন্ন অংশে ঘাঁ, পেচরা নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা একটু বেশী। গত ৬ মাস যাবত ক্যালসিয়াম ঔষধের সরবরাহ নেই। জেনসন ভাইলট (পানিবাহিত রোগের ঔষধ), ভ্যানজাইক (দাউদের ঔষধ) ও এলাজির ভাল মানের ঔষধের প্রয়োজন রয়েছে। তবে (এন্টিবায়টিক) মেট্রোনিডাজল, ফাইমক্সিল ঔষধের চাহিদা বেশী।

এছাড়া ক্লিনিকের জানালা গ্রিল ভাঙ্গা। টিউবওয়েল নষ্ট। টয়লেটের সমস্যা রয়েছে।

প্রতিবেদক : মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১ : ৩০ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৭, সোমবার
এইউ

Leave a Reply