বিবিসি অবলম্বনে চাঁদপুর টাইমস:
ছাত্রীকে কথিত যৌন হয়রানির অভিযোগে নাটোরের বড়াইগ্রামের একটি কওমি মাদরাসা বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের জেল এবং অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অভিযোগের পর তদন্ত করে প্রশাসন এ ব্যবস্থা নিলেও অভিভাবকদের কেউ কেউ আবার বিষয়টিকে ষড়যন্ত্রও বলছেন।
বড়াইগ্রাম থানার নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানিয়েছেন অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর শিক্ষা কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তদন্ত করে তারা যৌন হয়রানির ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন।
আর সে কারণেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে স্থানীয় আয়েশা সিদ্দিকী আবাসিক কওমি মাদ্রাসার অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে এক বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি সত্যি বলে প্রমাণ পেয়েছি। মাদ্রাসার কোনো কাগজপত্রও তারা দেখাতে পারেনি। আর যৌন হয়রানির বিষয়টি অধ্যক্ষ নিজেই স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন শাস্তি তিনি মেনে নেবেন। এর পর মাদরাসা বন্ধ করে দিয়ে তাদের কারা ও অর্থদণ্ড দিয়েছি’।
অভিযোগকারী অভিভাবক জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন আগেই তার কন্যার শিক্ষকের বিষয়ে অভিযোগ করেছে। যা তিনি মাদরাসা শিক্ষকদের জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, রোজার আগেই ঘটনাটি ঘটেছিল। পরে প্রশাসনকে জানালে তারা তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে।
তবে ওই মাদ্রাসার আরেক অভিভাবক ইয়ার আলীর অভিযোগ, একই এলাকায় তিন ভাইয়ের তিনটি মাদরাসার মধ্যকার বিরোধের জের ধরে এই দুই শিক্ষক ও মাদরাসাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম জানিয়েছে, তিন মাদরাসার মধ্যে বিরোধ রয়েছে সেটি সত্য। তবে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে সেটিও তদন্তে সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। সূত্র : বিবিসি