নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ রোববার

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আগামী রোববার ঢাকার নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি। ওই সমাবেশে ঢাকাসহ আশেপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা অংশ নিবেন বলে জানা গেছে। সেজন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছে দলটি। এছাড়া আগামী শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেল সাড়ে ৩টায় স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির ঘোষিত দুইদিনের কর্মসূচি ঘিরে আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে গত বুধবার দু’দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

যৌথসভা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। ওইদিন বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হবে। এই সমাবেশটি হবে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেবার সমাবেশ। গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে আরও ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমরা এই সমাবেশটি গুরুত্বের সঙ্গে করতে চাই। একইদিন ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরের মহানগরে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিগত দিনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবার, যারা পঙ্গু হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন তাদেরকে নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, আবৃত্তি, কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান থাকবে।

প্রশাসনে অস্থিরতা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বিপ্লবের পরে এ ধরনের সমস্যা থাকতেই পারে। এটা তো সম্পূর্ণ নতুন সরকার। প্রশাসনে এতোদিন ধরে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ রাজনীতিকরণ করেছে। এতে সব জায়গায় বেশিরভাগ লোকই তাদের মতাবলম্বী লোকদের সুবিধা দিয়েছে, পদায়ন করেছে, তাদেরকে দিয়ে কাজ করিয়েছে। ফলে একটু সময় লাগবেই। পুরোপুরিভাবে নতুন করে তো এই মুহুর্তে নিয়োগ করা সম্ভব না। যারা আছেন তাদেরকে দিয়ে করতে হবে। সেজন্য আমাদেরকে একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। আমার বিশ্বাস, অতি অল্প সময়ের মধ্যে সব কিছু সুষ্ঠু হয়ে যাবে।’

সর্বত্র পরিকল্পিত চক্রান্ত চলছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিভাবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করে দিতে একটা চক্র কাজ করছে। কারা কাজ করছে সেটা সবাই জানেন। পতিত ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং সেখান থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এই বাংলাদেশ সম্পর্কে, বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্কে। এই অপপ্রচার কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বাংলাদেশের মানুষ এটাকে অবশ্যই প্রতিবাদ করছে, এই ধরণের অপপ্রচারে তারা কান দেবে না বলে বিশ্বাস করি।’

একই সঙ্গে শিল্পক্ষেত্রে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমি অনুরোধ জানাব, যারা দেশপ্রেমিক মানুষ আছেন তারা সবাই একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ধরণের প্রবণতাকে নস্যাৎ করে দেবেন, প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। যেন কোনো ব্যক্তি কোনোভাবেই বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যকে বিনষ্ট করতে না পারে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করব, এই শিল্প-কল-কারখানাগুলো চালু রাখার ক্ষেত্রে বিএনপির নেতাকর্মীরা যে যেখানে আছি আমরা যেন সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে পারি।’

এ সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের ‍উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মীর সরাফত আলী সপু ছাড়াও ঢাকা মহানগরের আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুব দলের এম মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ নেতারা ছিলেন।

চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক/ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Share