গৈপুর (আদুরভিটি) সমাজবাসীর উদ্যোগে বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে প্রধান আলোচক মাওলানা সাদিকুর রহমান আল আজহারী
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার গৈপুর (আদুরভিটি) জামে মসজিদ কমিটি ও মুসল্লীদের উদ্যোগে বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকেল থেকে ভোর রাত পর্যন্ত চলে এ ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন, আন্তজার্তিক খ্যাতিসম্পন্ন মোফাচ্ছেরে কোরআন ও সুমধুর কণ্ঠস্বর, চ্যানেল-২৪, মোহনা ও বৈশাখী টেলিভিশনের ধারাভাষ্যকার ও আলোচক আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সাদিকুর রহমান আল আজহারী।
মাহফিলের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন সৌদি প্রবাসী আলহাজ্ব মোঃ কবির হোসেন দর্জি ও গৈপুর জামে মসজিদ কমিটি।
আরো ওয়াজ করেন আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ অলিউল্যাহ হেলালী ও মাওলানা মোঃ তাজুল ইসলাম চাঁদপুরী।
ছেংগারচর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য মোঃ শরীফ উল্যাহ দর্জির সভাপতিত্বে ও মাওলনা হাফেজ মোঃ কাউছার আহম্মেদ এর পরিচালনায় ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার প্রাণীসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ডা. মোঃ শহীদ উল্যাহ দর্জি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. আবু জাফর নূরী, আল মাহমুদ টিটু মোল্লা, ছেংগারচর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন খোকন ঢালী।
অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা পরিবহন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম প্রধান, ছেংগারচর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য কামাল হোসেন খান, মোঃ নাছির উদ্দিন, জসিম উদ্দিন বকাউল, মোবারক হোসেন মুফতি, শাহ আলম প্রধান, আঃ মান্নান লস্কর, চাঁন মিয়া প্রধান, ছেংগারচর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোস্তফা মাস্টার, মোঃ সাইফুল ইসলাম দজির্, মোঃ মিজানুর রহমান দর্জি, এনামুল হক রিপন, মারফত আলী, উপজেলা পুরবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামিম প্রধান, আক্তার দর্জি, জিয়াউল আলম (ফয়সাল), নাজমুল আলম প্রধান, আক্তার হোসেন মুফতি, জাকির হোসেন দর্জি, আবু তাহের সুমন প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি মাওলানা সাদিকুর রহমান আল আজহারী বলেন, ইসলামের নির্দেশনা হলো- মানুষ তার কথায় সংযত হবে, উত্তম ভাষায় মার্জিত ভঙ্গিতে কথা বলবে। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তার জীবন ও আদেশের মাধ্যমে আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন।
বয়ানে মাওলানা সাদিকুর রহমান আল আজহারী বলেন, রাসুল (সাঃ) এর সাথে পৃথিবীর কারো তুলনা হতে পারে না। তাই পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, নবীজি মু’মনিদের নিকট তাদের জীবন থেকে বেশি প্রিয়। অতএব নবীজিকে পথিবীর সবচেয়ে বেশি ভালবাসতে হবে।
আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সাদিতকুর রহমান আরো বলেন, আল্লাহর জিকির করা একটি বিশেষ নফল ইবাদত। এ ইবাদতের ধরাবাঁধা সময় নেই। যে কোনো সময়েই তা পালন করা যায়। জিকির সাধারণত তিন প্রকার। প্রথমত, জিকিরে লিসানি বা মৌখিক। দ্বিতীয়ত, জিকিরে কালবি বা আন্তরিক, স্মরণ তথা মনে মনে স্মরণ। তৃতীয়ত, জিকিরে আমালি বা কার্যত স্মরণ, তথা বাস্তব কর্মের মধ্য দিয়ে আল্লাহকে স্মরণ। জিকির করতে করতে যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বা সতেজ রাখবে, সে হাসতে হাসতে জান্নাতে যাবে। আল্লাহর আদেশ-নিষেধ বাস্তবায়ন করাও আল্লাহকে স্মরণ করার নামান্তর। জিকিরকারীকে শয়তান সহজে খারাপ কাজের দিকে নিয়ে যেতে পারে না। জিকিরকারীর হৃদয়ে গুনাহ করার মজা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। সে ভালো কাজের দিকে আগ্রহী হতে থাকে। নেকির মজা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে তার। তাকে কুমন্ত্রণা দেয়ার সময় শয়তান পালিয়ে যায় অনেক দূরে। তিনি বলেন, কোরআন এর বিধান অনুযায়ী দেশর সমাজ ব্যবস্থা ও রাস্ট্র পরিচালিত হলে রাস্ট্রে ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত হবে।
ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে দেশ ও জনগণের সুখ শান্তি কামনা করে এবং মাহফিল কমিটি ও মুসল্লীদের জন্য সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আলোচক আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সাদিকুর রহমান আল আজহারী আখেরী মুনাজাত করেন।
কামাল হোসেন খান, মতলব উত্তর করেসপন্ডেন্ট
|| আপডেট: ০৯:২২ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, বৃহস্পতিবার
এমআরআর