গাইবান্ধা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুর রউফের বিরুদ্ধে একই স্কুলে নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীকে ‘যৌন হয়রানি’র অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে ‘সত্যতা পাওয়ায়’ অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষককে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে গাইবান্ধা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটি।
গাইবান্ধা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, ভৌত বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক আবদুর রউফ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে ‘যৌন হয়রানি’ করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীসহ তার সহপাঠীরা ঘটনার বিচার ও অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর আবেদন করেন। এর পর আরও ২৫ জন ছাত্রীর অভিভাবক অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে লিখিতভাবে আবেদন করেন।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার পরই অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আবদুর রউফ নিজের দোষ আড়াল করতে এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান।
আবদুর রউফ তার কৃতকর্মের জন্য ছাত্রীর কাছে ‘হাত-পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা’ করেছেন বলেও দাবি করেছেন তারা।
গাইবান্ধা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক দিলালা খানম লিটুকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট দাখিল করেছেন।
তিনি আরও জানান, তদন্ত রিপোর্ট ও অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুর রউফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাগজপত্র রংপুরের উপ-পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আবদুর রউফের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে অভিযুক্তের এমন শাস্তি মেনে নিচ্ছে না স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।
স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, ‘অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। সাজানো তদন্ত কমিটিসহ তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে গাইবান্ধা সরকারী বালিকা বিদ্যালয় থেকে বদলি করে ১০০ গজ দূরে বালক বিদ্যালয়ে বদলি প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে।’
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১২:২৭ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, শুক্রবার
এমআরআর