নববধূ রুশন গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে স্বামীকে খুন করে

গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে অচেতন করে স্বামী রাসেল আহমদকে হত্যা করেন নববধূ রুশন বেগম। এরপর নিজেই টানাহেঁচড়া করে বাসার সামনের রাস্তায় ফেলে রাখেন স্বামীর মরদেহ।

বুধবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম প্রথম আদালতে ঘণ্টাব্যাপী জবানবন্দিতে এভাবে স্বামীকে হত্যার বর্ণনা দেন নববধূ রুশন বেগম। আদালতের বিচারক শাহেদুল করিম ১৬৪ ধারার তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

রুশনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, গত সোমবার (০৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে খাবার শেষে স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির জের ধরে ঝগড়া শুরু হয় রুশনের। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে বারটার দিকে নিজের ওড়না স্বামীর গলায় পেঁছিয়ে অচেতন করে তাকে হত্যা করেন। রাতে মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকে।

আদালতে রুশন জানায়, শোবারঘরে স্বামীর মরদেহ রেখে তিনি অন্যকক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। ফজরের নামাজের পর নিজেই স্বামীর মরদেহ টানাহেঁচড়া করে বাসার সামনে ফেলে ঘরে চলে আসেন।

পরবর্তীতে সকালে বাসার মালিকের মামা আবুল হোসেন কর্মস্থলে যাওয়ার পথে মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে তাকে ডেকে বলেন, তুমি (রুশন বেগম) এখানে বসে আছো, তোমার স্বামীর মরদেহ পড়ে আছে।

পরে স্থানীয়রা কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে পুলিশ রাসেল আহমদের মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় সন্দেহভাজন হিসেবে স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ।

নিহত রাসেল আহমদ (৩২) সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার রশিদপুরের আব্দুল খালিকের ছেলে। তিনি নগরীর নরশিংটিলা ১২৯ নং বাসায় স্ত্রীসহ ভাড়া থাকেন।

৬ নভেম্বর (শুক্রবার) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মণ্ডলপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার মেয়ে রুশন বেগমকে (১৯) বিয়ে করেন রাসেল আহমদ। রুশন বেগম বাগবাড়ি এলাকায় ফুফুর বাসায় (নরশিংটিলা নং-৩১৬) থাকতেন।

এদিকে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই সেলিম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয় স্ত্রী রুশনকে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিম পাটোয়ারী এ তথ্য জানান।

নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট: ১০:২০ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার

ডিএইচ

Share