চাঁদপুর শহরের নিশি বিল্ডিং এলাকায় হনুফা বেগম (১৮) নামের এক নববধুর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যার কথা বলা হচ্ছে।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অনুমান দুপুর ২টায় ওই এলাকার আ. লতিফ খানের বাড়িতে হনুফা বেগমের পিত্রালয়ে ঘটনাটি ঘটে। বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মডেল থানার তদন্ত ওসি মো. মহিউদ্দিন। এদিকে খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম তাৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
হনুফার মা নারগিছ আক্তার ওরফে শিল্পী বেগম জানায়, মাত্র ক’মাস পূর্বে পাশবর্তী এলাকার জামতলা কলা বাগানের ছালামত গাজীর ছেলে আকতার হোসেন বাবুর সাথে হনুফা পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। হনুফার স্বামী ঢাকায় কাজ করে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি ) রাতে হনুফার পিতা না থাকায় মায়ের কাছে বেড়াতে আসে।
বাড়ির সবাই রোববার সকালে কাজে চলে যায়। হনুফা বড়িতে একা ছিল। দুপুর ২টার পর বাড়িতে এসে হনুফাকে ঘরের মেঝেতে ছটফট করতে দেখেন। তাৎক্ষণিক তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে জানায়।
চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. মাহবুবুর রহমান মন্ডল জানান, ‘ঘটনাস্থলে এসে হনুফার মৃত লাশ উদ্ধার করে লাশের সুরুত হাল রিপোর্ট করে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে আসি। লাশের পাশে একটি চিঠি পাওয়া যায়। তাতে লিখা ছিল আমার মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী, অন্য কেহ দায়ী নয়। এ চিঠি কার হাতের লেখা তা’তদন্ত করে দেখতে হবে। এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টের পর তদন্ত সাপেক্ষে হত্যার আলোমত পাওয়া গেলে পরবর্তীতে হত্যা মামলা নেয়া হবে।’
চাঁদপুর মডেল থানার ইনচার্জ ওলিউল্লা ওলি জানান, মেয়েটির স্বামীর সাথে তার বনিবনা ছিল না। স্বামী ঢাকায় কাজ করে। মেয়ের মা বাড়িতে ছিল না। বাড়িতে এসে দেখে মেয়েটি খাটের ওপর মৃত পড়ে রয়েছে। মেয়েটির পরিবার থেকে আত্মহত্যা বলা হচ্ছে । তবে তদন্তে মাধ্যমে বের হয়ে আসবে ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
প্রতিবেদক-আশিক বিন রহিম
।। আপডটে,বাংলাদশে সময় ১০ : ৩৩ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রোববার
এজি/ এইউ