কচুয়া

ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে সংসার ফিরে পেলো নবদম্পতি

রূপন সরকার ও ঝুমুর রাণী একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ের পিড়িতে বসেছেন। প্রায় ২ মাস ধরে সংসারও পেতেছেন মনের আনন্দে তারা। কিন্তু মাঝ পথে বাধা হয়ে ধারায় রূপনের বাবা-মা। ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে করালে স্বর্ণ গহনা, আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও মোটর সাইকেলসহ আরো কত কিছু পেতেন এমনি বাহানা তুলে ধরেন কনের পরিবারের কাছে। কনেকে গৃহে তোলা নিয়ে গত ১৫ দিন যাবৎ দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব লেগেই আছে।

এ নিয়ে শুক্রবার (২৫ মার্চ) বিকেলে কনের গরীবি পিত্রালয়ে সালিশ বৈঠক বসে। ওই সালিশি বৈঠকে কচুয়া উপজেলার ৪নং পূর্ব সহদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. ইমাম হোসেন সোহাগ উপস্থিত হন।

ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সোহাগ নববধূ ঝুমুর রানীর পরিবারের অসহায়ত্তের কথা শুনে প্রায় ভেঙ্গে যাওয়ার পথে ওই জুটির ঘর বেঁধে দেন তিনি। নিজের ঘর তৈরি করার কাজের ৪০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন বর রূপন সরকারের পরিবারের হাতে এবং এক ভরি স্বর্ণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এতে উপস্থিত লোকজন তাকে সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানান। অনেকেই বলেন, এমন দরদী চেয়ারম্যান দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে থাকলে সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট থাকবে না।

প্রসঙ্গত কচুয়া উপজেলার ৪নং র্পূব সহদেবপুর ইউনিয়নের তিলকিয়াভিটা গ্রামের অধিবাসী ঠাকুর দাস সরকারের পুত্র রূপন সরকার একই গ্রামের মৃত মহেশ চন্দ্র সরকারের কন্যা ঝুমুর রানী দাসকে প্রায় ২ মাস পূর্বে পছন্দ করে বিয়ে করেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমাম হোসেন সোহাগ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘মেয়েটির সংসার করার সুযোগ করতে পেরেছি বলে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি। অসহায় মেয়েটির পিতা জীবিত না থাকায় বরকে ব্যবসায় সহায়তা বাবদ ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি এবং কনেকে বরের ঘরে পাঠিয়ে তাদের এক করে দিয়েছি।’

জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৪: ১৭ পিএম, ২৬ মার্চ ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Share