Home / জাতীয় / নদীপথে দস্যুতা-ডাকাতি বন্ধ হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নদীপথে

নদীপথে দস্যুতা-ডাকাতি বন্ধ হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নৌ-পুলিশ আছে বলেই তিনি অনেক সফলতার গল্প শুনছেন। দেশ মৎস্য ও নৌ-প্রাণিজ সম্পদে ভরপুর হয়েছে।

একই সঙ্গে বন্ধ হয়েছে জলদস্যুতা ও ডাকাতি।
রাজধানীর (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত নৌ-পুলিশের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নৌ-পুলিশ জাটকা ইলিশ মাছ ধরা বন্ধে কাজ করছে। যে কারণে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। নদী থেকে বালু উত্তোলন এখন একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদী থেকে বালু উত্তোলন করা যাবে, তবে যত্রতত্র নয়। এই জায়গায় কাজ করছে নৌ-পুলিশ।

মন্ত্রী বলেন, নদীপথে ডাকাতি, অপহরণ, জেলে ধরে নিয়ে আটকে রাখার ঘটনা ঘটতো। নৌ-পুলিশের আভিযানিক কার্যক্রমের কারণে এসব ডাকাতি বন্ধ হয়েছে। সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হয়েছে নৌ-পুলিশ ও র‍্যাবের কল্যাণে।

মৎস্যখাতের উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় নৌ-পুলিশের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের মৎস্য আহরণ ও মৎসখাতে অর্থনৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে নৌ-পুলিশকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আরও বেগবান হতে হবে। এজন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নৌ-মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা দরকার।

সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, আভিযানিক সফলতা দিয়ে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ রক্ষায় নৌ অঞ্চলের মানুষের সহযোগিতা ও আস্থা অর্জন করেছে নৌ-পুলিশ। ইলিশ ও নদীর সব ধরনের মাছ সংরক্ষণে নৌ-পুলিশ কাজ করে। সরকারের নির্দেশনায় মা ইলিশ রক্ষায় দিনরাত কাজ করেন সদস্যরা। চলতি বছরে ইলিশের উৎপাদন ২ লাখ মেট্রিক টন ধরা হলেও আমার মনে হয় ৬ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছবে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ইলিশ উৎপাদন বেশি হবে বলে আশা করছি। ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদনও বেড়েছে।

মা ইলিশ সংরক্ষণে নৌ-পুলিশের কিছুটা বেগ পেতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় জেলেদের সঙ্গে মারামারি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এখনো আমাদের কিছু পুলিশ সদস্য আহত আছেন। বাংলাদেশ থেকে মাছের রপ্তানি আগের তুলনায় বেড়েছে। এই সেক্টরে আরও বেশি কাজ করতে পারলে বেশি বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। নদী এমন একটি মাধ্যম যেখানে ট্রাফিক জ্যাম নেই। নদীতে অভিযানের খরচও তুলনামূলক কম হয়। পরিবহন ব্যয়ও কম।

নৌ পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নদীকে বাঁচাতে হবে, নদী দূষণ করা যাবে না। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। নদীর মাঝে বাঁশ-কাঠ পোতা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে করে নদীর নাব্য সমস্যা হয়। নদীকে যত নিরাপদ করতে পারবো তত বেশি নদী থেকে আমরা লাভবান হবো।

তিনি আরও বলেন, নৌ-যানের কিছু সংকট রয়েছে। মন্ত্রণালয় আমাদের নৌ-যানের সংকট নিরসন করলে আরও বেশি কাজ করতে পারবে নৌ-পুলিশ। আমরা চাই বাংলাদেশের নদী রক্ষায় নৌ-পুলিশ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল কিবরিয়া প্রমুখ।