চাঁদপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুদী এলাকায় মেঘনা নদীর পাড়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মফিজ সর্দারে স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি এখন নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
বাড়িটি রক্ষা ও এলাকার অসংখ্য বসতভিটা, মসজিদ-মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট ও ফসলী জমি মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় শনিবার (৬ মে) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকার বাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে শনিবার বিকালে চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকায় বর্ষার মৌসুমে নদীর করাল গ্রাসে গত কয়েক বছরের ভাঙ্গনস্থল সরজমিনে পরিদর্শন করেন চাঁদপুর পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহম্মেদ ও চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান ও অনান্য কর্মকর্তারা।
নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে পৌর মেয়র স্থানীয়দের আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন এত বিশাল এলাকা নদীর পাড় রক্ষার জন্য পৌরসভা থেকে বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় শহীদ মফিজ সর্দারের স্মৃতি বিজড়ীত বাড়িসহ এ এলাকাকে রক্ষার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা বিগত বছর বর্ষার মৌসুমে যেভাবে বাঁশ, গাছ দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকিয়েছেন। সেভাবে এবছর ভাঙ্গন রক্ষার চেষ্টা করুন। অচিরেই চাঁদপুর নদীর পাড় রক্ষার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগামী বছর অবশ্যই নদীর পাড় ও ভাঙ্গন ঠেকাতে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবছর বর্ষার মৌসুমে যেন এই এলাকাটি রক্ষা পায় তার জন্য পৌরসভা থেকে এখনই বাঁশের পাইলিং স্থাপন করা হবে।
আলোচনা সভা ও ভাঙ্গনস্থল পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফখরুল আমিন ছিদ্দীকী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী ও শহর সংরক্ষণ উপ-বিভাগ এর আশরাফুজ্জামান খান, চাঁদপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. নুরুল আমিন, পৌরসভার কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মোঃ বিল্লাহ হোসেন মাঝি, সাবেক কাউন্সিলর চাঁন মিয়া মাঝি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শহীদ মফিজের ছোট ভাই বেলাল আহমেদ সরদার, মজিবুর রহমান সরদার,ফারুক আহম্মদ, আঃ রাজ্জাক খন্দকার, নুর মোহাম্মদ বেপারী, সোলেমান মিজি, ফারুক ছৈয়াল, ইদ্রিস গাজী, শেকান্তর ভূঁইয়া, মোহাম্মদ হোসেন কাজী, মিলন বেপারী, ইউনুছ গাজী, মোঃ কালু গাজী, রাজ্জাক খন্দকারসহ এলাকার গন্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
করেসপন্ডেন্ট
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩: ৪০ এএম, ৭ মে ২০১৭, রোববার
ডিএইচ