নথি রক্ষায় ডিসির কাছে গৃদকালিন্দিয়া কলেজের আবেদন
ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে সংরক্ষিত প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপুর্ণ নথিপত্র রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন কলেজের নব-গঠিত এডহক কমিটির সভাপতি দ্বারা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
রোববার (১ জুন) তিনি জেলা প্রশাসক এবং ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর অনুরূপ আবেদন করেন।
লিখিত আবেদনে জানা যায়, গত ৩১ মে শনিবার (কলেজের ছুটির দিনে) দুপুরে কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরি রানী সাহা কিছু সংখ্যাক অজ্ঞাত লোকদের সাথে নিয়ে কলেজে এসে অধ্যক্ষ রুমের ও অফিস রুমের তালা ভেঙ্গে ফেলে।
দেলোয়ার হোসেন জানান, গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/শিক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অবৈধভাবে থাকা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত এডহক কমিটি সভাপতি কর্তৃক অব্যাহতি পাওয়া সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরী রানী সাহা কিভাবে কলেজের অধ্যক্ষ ও অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তা আমার বোধগম্য নয়। আমি ধারনা করছি , তিনি আমাকে ফাঁসাতে বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে এই হীন কাজ করেছেন। তাই আমি বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসক ও ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছি।
তিনি আরো জানান, কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ফরিদগঞ্জের সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদ কলেজের নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আমাকে জেষ্ঠ্যতম হিসেবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগদান করেন। সেই থেকে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করে কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দপ্তর বিহীন ভাবেই শিক্ষকদের সহায়তায় গতিশীল রেখে আসছি। কিন্তু সাবেক এই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিজেই দীর্ঘদিন থেকে কলেজে অনুপস্থিত থেকে এবং নানাভাবে কলেজের ক্ষতি সাধন করে চলছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তারপরও কলেজের বৃহত্তর স্বার্থে এবং গভর্ণিং বডি সভাপতির নিদের্শনা মোতাবেক নিয়মিত কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। কিন্তু কলেজের তালা ভেঙ্গে নথি সরিয়ে ফেললে প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২ জুন ২০২৫