একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) প্রায় ৫ বছর পর এ-সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দল ইসিতে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোনো রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন গ্রহণ করবে না কমিশন।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি আবেদনগুলো যাচাই- বাছাই করে মার্চে নতুন দলের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যর কমিশন। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪০টি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এবার শুধু নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন নেবো না বর্তমানে যে ৪০ দল নিবন্ধিত আছে সে সব দলের কাছে হালনাগাদ তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে। এ কারণে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করবে ইসি।
২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবরের পর শুরু হবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সঙ্গে কিছু বিষয় চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), দলের লোগো ও পতাকার ছবি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সব সদস্যের পদবিসহ নামের তালিকা, দলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও এর সর্বশেষ স্থিতি, তহবিলের উৎস, দলের নিবন্ধনের আবেদন করার জন্য ক্ষমতা প্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুকূলে প্রদত্ত ক্ষমতাপত্র, নিবন্ধন ফি বাবদ সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বরাবরে জমাকৃত অফেরতযোগ্য টাকার ট্রেজারি চালানের কপি ইত্যাদি জমা দিতে হবে।
এ ছাড়া স্বাধীনতার পর থেকে আবেদন দেয়ার দিন পর্যন্ত সময়ে কোনো একটি নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অন্তত একটি আসন পেয়ে থাকে তাহলে তার দলিল, নির্বাচনে অংশ নিয়ে মোট ভোটের শতকরা ৫ ভাগ ভোট পেয়ে থাকলে তার প্রত্যয়নপত্র এবং দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর এবং অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় কার্যকর জেলা দপ্তর, অন্তত ১০০টি উপজেলা থানায় কার্যকর দপ্তর এবং প্রতি উপজেলায় অন্তত ২০০ ভোটার সদস্য হিসেবে দলের তালিকাভুক্ত থাকার সমর্থনে প্রামাণিক দলিল।
রাজনৈতিক দলকে শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নিবন্ধিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর উক্ত দলকে নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রদান করে কমিশন। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হয়। এই শর্ত মেনে ৪২টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় অনেক রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কোনো কার্যালয়ও নেই। এমনকি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কোন নির্বাচনে একটি আসনও পায় নি। নিবন্ধনের শর্ত অনেক রাজনৈতিক দলই মানে নি। দলের সর্বশেষ অবস্থায়ও কমিশনকে অবহিত করেনি দলগুলো। এবার এগুলো তদারকি করবে কমিশন।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১২ : ৫৫ পিএম, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭ মঙ্গলবার
এইউ