চাঁদপুরের পর্যটন কেন্দ্র বড় স্টেশন মোলহেডে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে স্থাপিত হচ্ছে আরো বেশ কিছু বসার বেঞ্চ (টেবিল)। একই সাথে মোলহেড এলাকার বিভিন্ন স্থান দখল মুক্ত সহ আলাদাভাবে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এতে করে মোলহেডে ঘুরতে আসা আগত দর্শনার্থীদের অনেক উপকৃত হবে।
জানা যায়, চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও চাঁদপুর পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে চাঁদপুরের এই একমাত্র বিনোদন কেন্দ্রটি আরো উন্নত এবং দর্শনীয় করে তুলতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছেন।
চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার পূর্বের তৈরি করা বসার টেবিল গুলোকে পুনঃসংস্কার করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি পূর্বের ওইসব টেবিল গুলোর ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন স্থানে একত্রে চারটি করে সিমেন্টের নতুন বেঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে।
এসময় নির্মাণ শ্রমিকরা জানান এভাবে চারটি টেবিল একসাথে করে সর্ব মোট তিনটি স্থানে নতুন করে নির্মান করা হবে। নতুন সিমেন্টের তৈরি এই বেঞ্চগুলোর সাথে মূল হেডের বিভিন্ন স্থানে থাকা পুরনো সিমেন্টের তৈরি বেঞ্চ গুলোও মেরামত করা হচ্ছে। এছাড়া মুলহেরেস উত্তর-পূর্ব কন্নারে নদীর পাড় লাগবে স্থানে সিঙ্গেল করে আরও বেশ কয়েকটি নতুন সিমেন্টের তৈরি করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন… ‘চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেড পর্যটনের জন্য সবচেয়ে আকর্শনীয় জায়গা’
চাঁদপুরের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র এই বড় স্টেশন মোলহেডটিতে এই বেঞ্চগুলো তৈরি করা হলে দর্শনার্থীদের বসার ক্ষেত্রে অনেক উপকৃত হবেন। বিশেষ করে যে স্থানগুলোতে চারটি করে নতুন বেঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে একই পরিবারের একাদিক সদস্যরা ওই ব্র্যাঞ্চ গুলোকে বসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও চাঁদপুর পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে চাঁদপুরের পর্যটন কেন্দ্রটির উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে বড় স্টেশন মোলহেড এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখল মুক্ত করেছি। পাশাপাশি এর সৌন্দর্য বর্ধনে আমরা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নিয়েছি।
তিনি আরো জানান সেখানে পুরনো বসার গাছগুলোকে আমরা পুনঃসংস্কার করে মেরামত করেছি এর পাশাপাশি নতুন কিছু সিমেন্টের তৈরি বসার বেঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে এসব কাজ করতে গিয়ে যে পরিমান অর্থের প্রয়োজন। আমরা সে পরিমান অর্থ বরাদ্ধ পাইনি।
এসব উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে জেলা প্রশাসন থেকে আমরা মাত্র ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,১৪ জুন ২০২১