দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় বৃষ্টির পানিতে দেশের ১৬টি জেলার ৫৯টি উপজেলা এখন বন্যাকবলিত। আর এ জেলা এবং উপজেলার নদীগুলোর পানি দু’একদিনের মধ্যে কমে আসতে শুরু করবে।
পানি গুলো বঙ্গোপসাগরে নামার সময় নতুন করে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার মধ্যে চাঁদপুরের নামও এসেছে।
ইতোমধ্যে মেঘনার উত্তাল স্রোতে চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বর ও হাইমচরের একাধিক স্থানে ভাঙ্গনে প্রায় ৩ শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এসব এলাকার সাধারণ মানুষসহ ভিটা বাড়ি ছড়ছেন। পানির চাপে কিছু মানুষ নিজেদের ঘর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ কামাল শনিবার (৩০ জুলাই) ঢাকার মহাখালির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের বন্যা পরিস্থিতি ও তা’ মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন ।
তিনি তার উপস্থানায় বলেন ,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে চলমান বন্যার পানি সাগরে নামার সময় মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলা নতুন করে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। চাঁদপুর সহ ৬ জেলা এর মধ্যে রয়েছে।
যে সব নদীর পানি বেড়েছিল, সেগুলো দু’ এক দিনের মধ্যে কমে আসতে শুরু করবে। এ পানি বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার সময় রাজবাড়ি ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল জেলার প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উজান থেকে নামা ঢল ও বৃষ্টির পানিতে দেশের ১৬টি জেলার ৫৯টি উপজেলা এখন বন্যাকবলিত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৯ জুলাই পর্যন্ত বন্যায় ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪ শ’৯৬টি পরিবারের ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬শ’১৫ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । ৯ হাজার ৩শ ১৪টি ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১২ হাজার ৩শ’৭১টি আংশিক ক্ষতিগ্র¯ত হয়েছে ।
বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে রংপুরে ১ জন, কুড়িগ্রামে দু’জন, গাইবান্ধায় ৪ জন এবং জামালপুরে ৭ জন।
সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘দুর্গত এলাকায় ত্রাণের কোনো অভাব নেই। ৫ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত দুর্গত এলাকায় ১৩ হাজার মে. টন চাল দেয়া হয়েছে। সাড়ে ৫ কোটি নগদ টাকাও ছাড় করা হয়েছে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৭:৩০ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ