জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় নতুন জলাধার সৃষ্টি এবং বিদ্যমান জলাধারগুলোর পানি ধারণক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নদী ও পানি সম্পদ রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, প্রাকৃতিক প্রাচুর্য থাকা সত্ত্বেও নদীকেন্দ্রিক পর্যটনের বিকাশ ঘটেনি দেশে।
আজ বৃহস্পতিবার(১ অক্টোবর) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, নৌ ও সড়ক পথের পাশাপাশি আকাশপথেরও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। বাগেরহাটে নতুন একটি বিমান বন্দর নির্মাণ করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা দেশে যত খাল, বিল, হাওড়, পুকুর, নদী যা আছে সবগুলোর যাতে নাব্যতা থাকে, সেগুলো খনন করা, সেখানে পানি ধারণক্ষমতা বাড়ানো। তাতে দুটি কাজ হবে। একটা হচ্ছে আমাদের জীববৈচিত্র্য রক্ষা হবে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে আবার মৎস্য উৎপাদন বাড়বে। মানুষের চাহিদাটাও আমরা পূরণ করতে পারব।
উদ্বোধনী আয়োজনে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের পানি সম্পদ রক্ষায় গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষের এখন সুপেয় পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান তিনি। পর্যটন ও বিমান খাতের উন্নয়ন, বড় অঙ্কের রাজস্ব আয়ের উৎস হতে পারে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, নতুন অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দর হবে দক্ষিণবঙ্গে।
অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন পানি ভবন মিলনায়তন প্রান্তে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বার্তাকক্ষ, ১ অক্টোবর,২০২০;
কে. এইচ