বিশেষ সংবাদ

নজরুলের বৈচিত্র্যময় জীবন ও সাহিত্যে অবদান

কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। তিনি বিদ্রোহীকবি নামেও পরিচিত। আমাদের প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ছিল নানা বৈচিত্র্যময় । বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান অপরিসীম ও বর্ণনা করেও বোধ হয় তা শেষ করা যাবে না ।

বাংলা সাহিত্যে তাঁর সব ক্ষেত্রে বিচরণ ছিল মুক্তবিহঙ্গে পাখি উড়ার মতই। তিনি আমাদের অহংকার ও তারুণ্যের কবি,প্রেরণার কবি,উৎসের কবি,উদ্দীপনার কবি। তিনি বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি ও একজন বাঙালি কবি,একটি বিদ্রোহী কবিতা লিখেই বিদ্রোহীকবি এবং পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি।দেশপ্রেম মহত্ব, মানুষত্ববোধ, মানুষের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা জাগ্রত করা তাঁর লেখনিতে পাওয়া গেছে ।

পরাধীনতার শৃংখলে আবদ্ধ থেকে পরাধীনতার বিরুদ্ধে লেখনি,বৃটিশ শাসকদের হুমকি-দমকি উপেক্ষা করেও ক্ষুরদার লেখনি অব্যাহত রাখা,প্রেম-প্রণয়-ভালোবাসায় বিচ্ছেদ, জেল-জরিমানা,অর্থভৈববের প্রার্র্চূতাহীন জীবন,দারিদ্র্যের নিষ্পেষণে থেকেই জীবন-যাপন,প্রথমজীবনে নার্গিসের প্রেমের বিরহ-বেদনা,প্রেয়সী ও পরে স্ত্রী প্রমীলার পক্ষাঘাত জনিত অসুস্থতায় কবিকে সাময়িক বিচলিত হওয়া,সন্তান ও মাতৃবিয়োগ থেমে যান নি তিনি । তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত।

১৯২০ সাল হতে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত তাঁর সব রচনা সামগ্রীর সঠিক হিসেব পাওয়া না গেলেও ২ হাজার ৮শ গান, ৯শ কবিতা , ১শ টি প্রবন্ধ , ৫৫টি গ্রন্থ , ২৫ টি নাটক , ১৮ টি গল্প ১শ ৯৮ গজল ও ইসলামী গান ও ৪৫০ টি শ্যামা সঙ্গীত রচনা করেন। বাংলা ভাষার সাহিত্যগগনে আর কোনো বাংলা ভাষার কবি বা সাহিত্যিক ২০-২১ বছরের এ অল্প সময়ে এতগুলো রচনাবলী কেউ রেখে গেছেন কি না তা আমার জানা নেই । বাংলা গানে তিনি রাগ-রাগিণী সংযোজন করেন।

তিনি বাংলা সাহিত্য, কবিতায় সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ – দু’ বাংলাতেই তাঁর কবিতা , গান ও গজলে সমানভাবে সমাদৃত। তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে ‘ বিদ্রোহী কবি ’নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।

কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা মননে , মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার।

অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনের সব কাজেই “বিদ্রোহী কবি” হিসেবে আত্মপ্রকাশ। তাঁর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে উভয় বাংলাতে উদযাপিত হয়ে আসছে। তাই আজ শ্রদ্ধাভরে কবিকে স্মরণ করি।

লেখকের অভিপ্রায়

ঢাকার নীলক্ষেত ঘুরে এবং পুরানা পল্টনের বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত উত্তর পাশের উম্মুক্ত রাস্তা থেকে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করা নজরুল সম্পর্কে মহামূল্যবান অসংখ্য বই পড়ে অর্জিত এ ক্ষুদ্র জ্ঞানের আলোকে যতটুকু সম্ভব পর্বগুলোতে তা তুলে ধরা হয়েছে ‘নজরুলের বৈচিত্রময় জীবন ও সাহিত্যে অবদান’।

বৈর্শ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ১১ মার্চ মহান শিক্ষকতা পেশা থেকে সদ্য অবসর নেয়ার পরবর্তী সময়ে গভীর-অগভীর রাত পর্যন্ত জেগে ও সকাল-বিকেলে তথ্য-ঋপাত্ত লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরার প্রয়াসই হলো আমার এ ‘নজরুলের বৈচিত্র্যময় জীবন ও সাহিত্যে অবদান ’ শিরোনামের লেখাটুকু’র ধারাবাহিক উপস্থাপনা ।

বর্তমান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে প্রিয়কবির রচনাবলী,সাহিত্যে অবদান, উদ্দীপনামূলক গান,কবিতা,গল্প,উপন্যাস ও কবির বৈচিত্র্যময় জীবনধারার প্রেক্ষাপট তুলে ধরা আমার কিছুটা হলেও এর লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও অনুপ্রেরণা। আমার এ লেখাটুকুৃ প্রামান্য দলিল নয় – ইহার যে কোনো তথ্য-উপাত্ত ব্যত্যয় হলে অবশ্যই উহা হবে আমার বিনয়াবনত ইতিবাচক পরিমার্জন,পরিবর্তন ও সংশোধনযোগ্য্ পরবর্তী কর্ম-সম্পাদনা ।

বংশ পরিচয়

নজরুলের পূর্বপুরুষরা ছিলেন বিহারের পাটনার অধিবাসী। মোঘল বংশের আমলে বর্ধমান চুরুলিয়া গ্রামে চলে আসেন তাঁর পুর্বপুরুষগণ্। তাই কবি নজরুলের ছিল একটি বিশাল বংশ পরিচয়। বংশধারায় তাঁর পরিবার কেউ- কাউকে নির্যাতন-নিপীড়নের কোনো ধরনের ঘটনার নজির পাওয়াা যায় নি। কবি নজরুলের পূর্বপুরূসদের অর্থভৈবব ছিল না।

তাঁরা ছিলেন উচ্চ বংশীয় কাজী পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতামহের নাম ছিল কাজী আমিনুদ্দিন। তাঁরা ছিলেন চার ভাই। এরা হলেন-কাজী জিল্লার রহমান,কাজী বজলে করীম ও কাজী ফাইজার করীম্। হাজী পালোয়ান নামে একজন পীর ফকির ছিলেন। তিনি একটি কুকুরের খনন করেন । এর নাম ছিল পীর পুকুর। কবি নজরুরের পুর্ব পুরুষগণ বা পরিবারের লোকেরা পর্যায়ক্রমে মাজারের তত্বাবধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

চুরুলিয়ার এ মক্তবেই দুখু পড়েছেন ও পড়িয়েছেন : ছবি ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

নজরুলের জন্ম,শৈশব ও কৈশোর কাল

কাজী নজরুল ইসলাম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে ১৮৯৯ সালের ২৪ মে , ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জৈষ্ঠ্য এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম কাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর বাবার নাম ছিল কাজী ফকির আহমেদ এবং মাতার নাম ছিল জাহেদা খাতুন । জাহেদা খাতুন ছিলেন কাজী ফকির আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী। পিতা-মাতার ৬ষ্ঠ সন্তান ছিলেন নজরুল। নজরুলের সহোদর তিন ভাই ও এক বোন। এরা হলেন-কাজী সাহেব জান, কাজী আলী হোসেন ও বোন উম্মেকুলছুম। নজরুলের জন্মের আগে তাঁর পর পর চার ভাইয়ের মৃত্য্রর পর নজরুলের জন্ম্ । এ জন্যেই নজরুলের জন্মের পর তাঁর নাম রাখা হলো দুখু মিয়া। তাঁর বাবা বাড়ির মসজিদের পাশে একটি মক্তব চালাতেন ও মসজিদে আযান দিতেন, ইমামতি করতেন ও মাজারের খাদেমের কাজ করেন। কোরআন খতমের দাওয়াত গ্রহণ করতেন।

কাজী ফকির আহমেদ কিছ’দিন জ্বরে অসুস্থ থাকা পর ১৯০৮ সালে ৯ বছর বয়সে ১৩১৪ বঙ্গাব্দের ৭ চৈত্র বাবা কাজী ফকির আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। বাবার মৃত্যুতে তাঁর সংসার চালানোর দায়িত্ব বৃদ্ধি পায়। একদিন হাজী পালোয়নের মাজার থেকে নজরুলের ডাক আসল। মাজারে একজন ব্যাক্তি বললেন ‘তুমি এ মাজারের কাজ করতে পারলে তোমার মায়ের অনুমতি নিয়ে কালই আস ।’

দুখুর শৈশব ও কিশোর বয়সে : ছবি ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

এ বয়সে উপায়ান্ত না দেখে নজরুল সংসারের দায়-দায়িত্ব নিতে চাকুরির খোঁজও নেন বাবার মৃত্যুর পর। অবশেষে তাঁর বাবার চাকরির সুবাদে মাজারের দেখাশুনাসহ মসজিদে ইমামতি ও অযানের দায়িত্ব নেন। পাশাপাশি তিনি মক্তবে পাঠদানে শিক্ষকতাও চালিয়ে যান। নজরুল ১৯১০ সালে প্রাথমিক শেষ হয়। তাঁর পিতা ও চাচার কাছেই তিনি মক্তবও শিক্ষা গ্রহণ করেন। চাচা কাজী বজলে করীমও ছিলেন নজরুলের শিক্ষক। তাঁর কাছেই তিনি আরবি, ফার্সী ও উর্দূ ভাষা শিখেন।

তখন শেখ চকোর নামের একজন কবিয়ালের নজরে আসে দুখূ। তিনি যখনই কোনো গান লিখেন তখন সুর তুলে দিতেন দুখূ। তাঁর চাচার একটি লেটো দল ছিল। চাচার লেটো দলে নাম লেখান কবি নজরুল। সর্বপ্রথম তিনি সে দলে যোগদান করে উপমার ব্যবহার, হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবধারায় কবিতা ও গান রচনা বালক বয়স থেকেই রপ্ত করেন।

নজরুলের গদ্য, কবিতা ও পালাগান লেখার হাতেখড়ি হয় বজল করিমের লেটো গানের দলে । পরে বাসুদেব কবিয়ালের দলেও যোগ দেন । ফলে রাতারাতি কবি হয়ে ওঠেন। এ খানেই কবিত ¡শক্তি উন্মেষ ঘটে বলে নজরুল গবেষকগণ মনে করেন। দুখু সবার সাথে ভাব মিলাতে শুরু করে। এটি ছিল তাঁর নতুন জগৎ।

১৯১১ সালে লেটোদল ছেড়ে ছাত্র জীবনে প্রবেশ করেন এবং রাণীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন্। এর কয়েক মাস পর আবার মাথরুন ইংরেজি স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন্। তখন কেউ কেউ দুখু ,কেউ কেউ খ্যাপা , কেউ কেউ নুরু, আবার কেউ কাজীদা , কেউবা আবার তাঁকে নজরুল বলেই ডাকত।

লেটো দলে দুখুর গান শুনে বর্ধমান জেলার আন্ডার রেলওয়ের একজন গার্ডের সাথে পরিচয় হয় । ট্রেনের এ গার্ড লেটো দলে তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হন। তিনি নজরুলের গানগুলো মনোযোগ সহকারে শুনতেন। গার্ড তাঁকে একটি খানসামার চাকরি দেবার প্রস্তাব দেন। তার স্ত্রী ছিলেন একজন বাঙালি । তার নাম ছিল হিরণপ্রভা । গার্ডের সাথে এটা ছিল তার দ্বিতীয় বিয়ে। তিনি ছিলেন আবার দুখুর ছোট বেলার রন্ধু শৈলেন্দু কুমার মোষের দিদি । তাদের একটি খোঁড়া মেয়ে ছিল তার নাম অমিতা । দুখুকে সে মামা বরে ডাকত।

প্রতিভা দেখে তিনি গান শুনার জন্যে ঐ চাকুরি দেন। ছোটবেলার বন্ধু বাসুদেব এর মাধ্যমে চাকরির সংবাদ তাঁর মাকে জানাতে বলে। চাকরি হলো প্রসাদপুর বাংলায়। প্রতিদিন গার্ডকে বাড়ি নিয়ে যাবে এবং এটাই হলো তাঁর প্রথম কাজ। দ্বিতীয় কাজ হলো-টিফিন ক্যারিয়ার করে প্রসাদপুরের অজোপাড়াগাঁয়ের বাড়ি থেকে তার জন্য ভাত নিয়ে আসা । তবে চাকুরিটি বেশিদিন টেকে নি এখানে। ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলে নজরুলকে বিদায় করে দিলেন।

এরপর একটি চা-দোকানে এক টাকা মাসিক বেতনে চাকুরি নিলেন। দোকানের পাশেই ছিল তিনতলা একটি বাড়ি। রাতে ঘুমাতেন ঐ বাড়ির সিঁড়ির গোড়ায়। রফিজউল্লাহ নামে এ লোকটি পেশায় ছিলেন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর। একদিন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর রফিজউল্লাহ তার বাসার সিঁড়ির গোড়ায় তাঁকে দেখে হতবাক। প্রথমে তিনি ভাবলেন ছিঁছকে চোর-টোর হবে। কিছুটা হাব-ভাব বুঝে তিনি দুখূকে ঘুম থেকে জাগিয়ে সব কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন । তাঁর পারিবারিক ও ব্যক্তি পরিচয়ও জানেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত নজরুল পড়াশুনা করেন বলে জানান।

তিনি তাঁকে বলল তুমি আমাদের সঙ্গেই থাকো। তার স্ত্রীর নাম ছিল শামসুন নেছা খানম। তিনি ছিলেন নি:সন্তান। গ্রামের বাড়ি ছিল ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার কাজীর শিমলা নামক গ্রামে বা স্থানে। শামসুন নেছা খানম তাঁকে নিজ সন্তানতুল্য ভালোবাসতেন ও আদর-স্নেহ করেন। মেধা বুঝে তিনি ও স্বামী নিজের গ্রামের বাড়ি তাঁকে নিয়ে যান।

গ্রামের বাড়ি নিয়ে ১৯১৪ সালে বাড়ি থেকে ৫ মাইল দূরে দরিরামপুর হাই স্কুলে দুখুকে ৭ম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দিলেন পুলিশ ইন্সপেক্টর রফিজউল্লাহ। প্রথমে তিনি রফিজউল্লাহ’র জ্যেষ্ঠভ্রাতা সাখাওয়াতুল্লাহর ঘরে লজিং ছিলেন। তাঁর বাড়ি বা ঘরে থেকে পডাশোনা করেন।

দুখু ক্লাসে অমনোযোগী হলেও ছাত্র হিসেবে তিনি ছিলেন মেধাবী। ১৫ বছরের কিশোর নজরুল বড় একা হয়ে পড়ে। কেননা সেখানে কোনো বন্ধুও ছিল না তাঁর। তাই তিনি একা একা দরিরামপুর হাই স্কুলের পাশে ‘ ঠুণিভাঙা ’ ঝিলের কাছে বসে বসে প্রায় বাঁশি বাজাতেন।

এ বছর ১৯১৪ সালেই নজরুল বার্ষিক পরীক্ষায় চমৎকার রেজাল্ট করলেন এবং অষ্টম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। ফলে মা জাহেদা খাতুনের সাথে দেখা করতে চুরুলিয়ায় ছুটে এসে আর ফিরে যায় নি নজরুল। ১৯১৫ সালে সিয়ারসোল রাজ হাই স্কুলে বন্ধু শৈলজানন্দের কথায় অষ্টম শ্রেণিতে এসে আবার ভর্তি হন। ১৯১৭ সালে নজরুল ম্যাট্রিক বা প্রবেশিকা পরীক্ষা দেবার কথা ছিল। কিন্তু সৈনিক দলে ভর্তি হওয়ায় পরীক্ষা দেয়া হয়নি ।

তথ্য সূত্র : মো.হাবিবুর রহমান রচিত ‘ছোটদের নজরুল ’ ও ‘ চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরের ‘ নবারূণ ’ থেকে সংগ্রহীত । (১ম পর্ব শেষ – চলবে ২০ পর্ব পর্যন্ত )। পরবর্তী পর্ব নজরুলের ‘ সৈনিক জীবন ও সৈনিক ফেরা জীবন ’)

সম্পাদনায় : আবদুল গনি, শিক্ষক, সাংবদিক ও সাধারণ সম্পাদক , নজরুল গবেষণা পরিষদ, চাঁদপুর । মোবা: ০১৭১৮ ২১১-০৪৪,
৮ জানুয়ারি ২০২১।
/strong>

Share