ডেস্ক রিপোর্ট: কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী বেড়েছে। তবুও প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও ইয়াবাসহ নানা মাদকদ্রব্য উদ্ধারের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থানের পরও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ইয়াবার চালান আসছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এদিকে র্যাব জানিয়েছে, টেকনাফ র্যাব ক্যাম্প-১ এর অভিযানে গত জুলাই মাস থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত চার কোটি ২৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, সরকার প্রধানের নির্দেশে ‘চল যায় যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ এই শ্লোগানে দেশব্যাপী র্যাযবের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদক নির্মূল করতে র্যাব সদস্যরা কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে রাত-দিন টহল দিয়ে যাচ্ছেন। এতে মাদক উদ্ধারের ঘটনাও ঘটছে। গত জুলাই মাস থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত চার কোটি ২৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ হাজার ৬৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, তিন হাজার ৩২২ ক্যান বিয়ার, একটি ওয়ান শুটার গান ও একটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া গত জুলাই মাসে অভিযান চালিয়ে ৪৩ হাজার ৮৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫০৮ ক্যান বিদেশি বিয়ার উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় ১২ মামলায় ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে বলে দাবি র্যাবের। মিয়ানমার হতে নৌপথে আসা ইয়াবার চালান সড়ক, রেল ও বিমানপথে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে।র্যাব এসব মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, টেকনাফে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী বেড়েছে, বেড়েছে ইয়াবা পাচারও। তবে মাদক পাচার রোধে গত ২৫ জুলাই থেকে টেকনাফে র্যাবের অতিরিক্ত ৫টি ক্যাম্প স্থাপনসহ ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়েছে। তবুও ইয়াবা ব্যবসায়ীরা কৌশলে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা চালান নাফ নদী ও সমুদ্র পথে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে।
র্যাব-১ টেকনাফ ক্যাম্পের ইনর্চাজ লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব জানান, মাদক নির্মূল করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে র্যারব। গত জুলাই মাস থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত চার কোটি ২৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকার মাদকসহ ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে সীমান্তে র্যাবের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকায় মাদক কিছুটা কমেছে বলে দাবি এই র্যাব কর্মকর্তার। বাংলা ট্রিবিউন