মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হলে ব্যাংকের শাখায় শাখায় ডলার লেনদেন বাড়াতে হবে। সেই পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বর্তমানে ১ হাজার ২শ অনুমোদিত ডিলার বা এডি শাখা ও ২৩৫টি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ব্যবস্থা রয়েছে।
এখন ব্যাংকগুলোর শাখার মাধ্যমে সারাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে ব্যাংকগুলো তাদের কোন কোন শাখার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করবে তার তালিকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠাবে। এসব শাখার একটি উপ-বিভাগ থেকে শুধু বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন হবে।
এর ফলে গ্রাহকরা ব্যাংকের যেকোনও শাখায় গিয়ে চাহিদা অনুযায়ী ডলার কেনাবেচা করতে পারবেন। নগদ ডলার কেনাবেচায় মানি চেঞ্জারের ওপর নির্ভরতা কমানো ও হুন্ডি প্রতিরোধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান নিয়মে শুধুমাত্র বৈদেশিক লেনদেনে নিয়োজিত ব্যাংকের অথরাইজড ডিলার (এডি) শাখাগুলো থেকে নগদ ডলার কেনাবেচার অনুমতি রয়েছে। বর্তমানে ডলার সংকট কাটাতে এ সেবার পরিধি বাড়াতে চাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা গেছে, ডলার বেচাকেনার জন্য শুধুমাত্র এডি শাখাগুলোর অনুমতি রয়েছে। কিন্তু সারাদেশে এ ধরনের শাখার সংখ্যা খুব একটা নেই। রাজধানী ঢাকাসহ জেলা ও বিভাগীয় শহরেই বেশির ভাগ শাখা।
ফলে নগদ ডলার কেনাবেচার জন্য মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের ওপরই বেশি নির্ভর করতে হয় প্রবাসী বাংলাদেশি,বিদেশি পর্যটকসহ সাধারণ গ্রাহকদের।
এছাড়া ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে এনডোর্সমেন্ট বাধ্যতামূলক হলেও খোলা বাজারে সেই বাধ্যবাধকতা নেই। ফলে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো নগদ ডলারের বাজারে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে রেখেছে। ডলারের বাজারে চলমান অস্থিরতার পেছনে মানি চেঞ্জাররা দায়ি বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহককে গুণতে হচ্ছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা।
১৩ আগস্ট ২০২২
এজি