Saturday, May 02, 2015 08:14:11 PM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
শনিবারের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে ৮০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে রিশি খানাল (২৭) নামের এক যুবককে।
টানা ৫ ঘণ্টা চেষ্টার পর নেপাল ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্ধারকারী দল ধসে পড়া একটি ভবন থেকে রিশি খানালকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
রিশি কানাল জানান, শনিবার একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠতেই হঠাৎ কাপতে শুরু করে ভবনটি। পরে সেখানেই ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে।
তিনি বলেন, আমি যেখানে ছিলাম ওখানে খাবার এবং পানি কিছুই ছিলই না। জীবন বাঁচাতে নিজের মূত্রপান করতে বাধ্য হয়েছি। আমার সাথে ৩টি মরদেহও ছিল।
ডা. আখিলেশ শ্রেস্থা বলেন, মনোবলই রিশিকে বাচিয়ে রেখেছিল। তার পা ভেঙ্গেছে। এছাড়া তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি রিশির। তবে মানসিক আঘাত পেয়েছেন; যা কাটাতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
ইতোমধ্যে নেপালে সেই দিনকার ৭ দশমিক ৯ মাত্রার এ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ৮১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রায় আট হাজার মানুষকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার কাঠমান্ডুতে ভূমিকম্পের ৫০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয় এক নেপালি নারীকে।
৫০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার!
কথায় আছে, রাখে ইশ্বর মারে কে। আর মারে ইশ্বর রাখে কে। পৃথিবীর সবকিছুই নাকি তার ইশারাতেই সম্পন্ন হয়! মানুষের জীবন-মরণও নাকি তার হাতের মুঠোয়! ইহজগতে আমরা তা বিশ্বাস করি আর নাই করি! তার প্রমাণ কিন্তু আমরা হরহামেশাই পাই। আর এর প্রমাণ মিলল আবারও।
ধ্বংসস্তুপের নীচে ৫০ ঘণ্টা ধরে আটকে থাকার পর জীবিত উদ্ধার করা নারীকে ঘিরে উদ্ধারকর্মীরা।
সর্বশেষ নেপালে ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়ে যেখানে হাজার হাজার মানুষ নিমিষেই মারা যাচ্ছেন; মিশিয়ে যাচ্ছেন ধূলোর সাথে; সেখানে ৫০ ঘণ্টা ধরে অনাহারে পাথর, সুড়কির নীচে চাপা পড়েও বেঁচে রইলেন এক নেপালি নারী।
মানবতার খাতিরে দেশটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পরই উদ্ধারকর্মে নিয়োজিত রয়েছেন ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) উদ্ধারকর্মীরা। ধ্বংসস্তুপের নীচে মরে যাওয়া, বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধারে চালিয়ে যাচ্ছেন মরিয়া অনুসন্ধান। তারই অংশ হিসেবে সোমবার ওই নারীকে উদ্ধার করা হল।
এনডিআরএফের সহকারী কমান্ড্যান্ট কুলিশ আনান্দ বলেন, দুটি পাথরের টুকরার মধ্যখানে এক নারী রয়েছেন এ খবর পেয়ে আমরা দ্রুত সেখানে যায়। গিয়ে দেখি সেখানে কিছু ফাঁকা জায়গা রয়েছে; যা থেকে দেখা যায় জীবিত রয়েছেন তিনি। তাকে সে অবস্থায় দেখে দলবল নিয়ে উদ্ধারকাজে নেমে পড়ি। প্রথমে আমরা নির্দিষ্ট জায়গা খনন করি; যাতে তার কোনো ক্ষতি না হয়। তারপর তাকে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ দিই। এরপর তাকে বের করে আনি।
উদ্ধারের পর তাকে দ্রুত কাঠমান্ডুর নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এমআরআর/2015
নিয়মিত আপনার ফেসবুকে নিউজ পেতে ক্লিক করে লাইক দিন :
https://www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur