বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু” ধেয়ে আসায় চট্টগ্রাম বন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের মতো এ বন্দরকেও ৪ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে বন্দরের কার্যক্রম কিছুটা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে বন্দরে পণ্য খালাস ও কন্টেইনার ওঠানামা স্বাভাবিক রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বন্দরের (পরিবহন)কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে ৪ নম্বর সতর্কতা জারির পর থেকে আমরা বহিঃনোঙ্গরে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছি। বর্তমানে বন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। বন্দরের নিয়ম অনুযায়ী, নিরাপত্তার জন্য সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।
“তবে বন্দরকে যদি ৫ নম্বর বা তার বেশি দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখানো হয়, তখন বন্দরে পণ্য ওঠানামাসহ অন্যান্য কার্যক্রম হয়ত বন্ধ রাখার মতো তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।”
এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর, গভীর সাগরে এবং কর্ণফুলী নদীতে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে আজ ভোর থেকে বৃষ্টি, ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসে ২০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’তে রূপ নিয়েছে। (অর্থসূচক)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:০৫ পিএম, ১৯ মে ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ