ঘূর্ণিঝড় কিহার শক্তিক্ষয় করে পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরের ওপর অবস্থান করছে। আর ঠিক এ সময়ে ভারতের দিকে এগিয়ে আসছে নতুন একটি ঘূর্ণিঝড় ‘মহা’।
আগামি ৬ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে তা লাক্ষাদ্বীপে আছড়ে পড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর তার পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় এ ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের ওপর অবস্থান করবে। পরে তা আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে।
এর ফলে আগামি ২৪ ঘণ্টায় লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, তামিলনাড়ুর দক্ষিণ প্রান্ত, অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকা, কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে সর্তক করেছে আবহওয়া দপ্তর।
তারা জানিয়েছে, এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরে হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কি. মি.। উত্তর লাক্ষাদ্বীপে ঘণ্টাপিছু ১২০ কি.মি এবং দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার থাকবে। এর ফলে ওই এলাকার সমুদ্র অতিরিক্ত উত্তাল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই একটি বেসরকারি সংস্থার দেয়া পূর্বাভাসকে সত্যি করে লাক্ষাদ্বীপের আমিনি দিভি এলাকায় রেকর্ড পরিমাণ ৩০১ মি.মি বৃষ্টি হয়েছে। মিনিকয় দ্বীপে হয়েছে ১১৯ মি.মি.। এর ফলে ওই এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে যে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে ভারী ও অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে লাক্ষাদ্বীপে।
প্রবল বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কর্ণাটক, কেরল উপকূল, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রের রায়ালসীমা এলাকায়। শুক্রবার ১ নবেম্বর দক্ষিণ ভারতের উপকূলের দিক থেকে এ ঘূর্ণিঝড় দূরে সরে যাবে। এর ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কমবে।
গত দু’মাসে সৃষ্টি হওয়া চারটি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারতের আবহাওয়ায় প্রচুর পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি কিহার ও এখন মহা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারতের পশ্চিম দিক থেকে প্রবেশ করতে পারছে না ঠান্ডা বাতাস। ফলে শীত আসতেও দেরি হচ্ছে।
সবরকম পরিস্থিতির জন্য নৌসেনার আধিকারিকরা প্রস্তুত আছেন বলে জানান হয়েছে সরকারের তরফে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জাহাজকে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
বার্তা কক্ষ , ১ নভেম্বর ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur