নাইজেরিয়ায় একটি ধানক্ষেতে কর্মরত অন্তত ৪৩ শ্রমিককে একসঙ্গে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গত শনিবার দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কশোবি নামে একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শ্রমিকদের সবাইকেই বেঁধে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতা বাবাকুরা কোলো বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, আমরা ৪৩টি মরদেহ পেয়েছি। সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। আরও ছয়জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সও স্থানীয় এক নেতার বরাতে এ হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে।
হামলাকারীদের খুঁজতে তল্লাশি শুরু করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ায় বোকো হারাম এবং ইসলামিক স্টেট (আইএসডব্লিউএপি) বেশ সক্রিয়। তাদের সঙ্গে সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, ২০০৯ সাল থেকে এপর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ২০ লাখ অধিবাসী।
শনিবারের হামলার বিষয়ে কোলো বলেন, এটা বোকো হারামের কাজ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তারা এই এলাকায় কৃষকদের ক্রমাগত আক্রমণ করছে।
ইব্রাহিম লিমান নামে আরেক স্থানীয় যোদ্ধা জানান, নিহত কৃষকরা কাজের খোঁজে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরবর্তী সোকোতো অঞ্চল থেকে কশোবি এসেছিলেন।
তিনি বলেন, মোট ৬০ জন কৃষকের সঙ্গে ধানক্ষেতে কাজ করার চুক্তি ছিল। ৪৩ জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, আহত হয়েছেন ছয়জন।
আরও আট কৃষক নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের অপহরণ করা হয়েছে।
এর আগে, গত মাসে মাইদুগুরি এলাকার কাছে পৃথক দু’টি ঘটনায় ২২ জন কৃষককে হত্যা করেছিল বোকো হারামের সদস্যরা।
বোকো হারাম এবং আইএসডব্লিউএপি প্রতিনিয়ত স্থানীয় কাঁঠুরে, পশুপালক ও জেলেদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি এবং সামরিক বাহিনী ও স্থানীয় যোদ্ধাদের কাছে তথ্যপাচারের অভিযোগ তুলেছে গোষ্ঠীগুলো। সূত্র: আল জাজিরা
বার্তা কক্ষ,২৯ নভেম্বর ২০২০