বিশ্বখ্যাত প্রচার সংস্থা উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে আনা ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত বাদ দিয়েছেন সুইডিশ প্রসিকিউটররা।
সুইডেনের পাবলিক প্রসিকিউশনের সহকারী প্রধান ইভা মারি পারসন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার মতে, এ ব্যাপারে সব ধরনের তদন্ত করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে আমরা যা পেয়েছি, অভিযোগ প্রমাণে তা যথেষ্ট নয়।
২০১০ সালের আগস্টে এক সুইডিশ নারী অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। তখন এই তদন্ত শুরু হয়। তবে, ৪৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক অ্যাসাঞ্জ বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
এই মামলার ‘স্ট্যাচুট অব লিমিটেশন’ অর্থাৎ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনি কার্যক্রম পরিচালনার সময় শেষ হয়ে যাবে ২০২০ সালের আগস্টে।
ইভা মারি পারসন বলেন, মামলার বাদীর জবানবন্দি স্পষ্ট ও বিস্তারিত ছিল। তিনি নির্ভরযোগ্য বর্ণনা দিয়েছেন। কিন্তু আমার মূল্যায়ন হলো, তথ্য-প্রমাণ এমনভাবে দুর্বল হয়ে গেছে যে, তা দিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার আর কোনো উপায় নেই।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে অ্যাসাঞ্জকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ। সুইডিশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর হওয়া এড়াতে, সেখানে তিনি ২০১২ সাল থেকে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন। গ্রেফতার করার পর যুক্তরাজ্যের একটি আদালত অ্যাসাঞ্জকে ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেন। তিনি এখন লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে।
অ্যাসাঞ্জের নাগাল না পাওয়ায় ২০১৭ সালে সুইডিশ কর্তৃপক্ষ ধর্ষণ মামলার তদন্ত বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তাকে গ্রেফতারের পর মামলাটি আবারও চালু করা হয়। সেপ্টেম্বরে প্রসিকিউটররা জানিয়েছিলেন, তারা সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে জন্ম নেওয়া জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জ একজন প্রোগ্রামার, যিনি আলোচিত প্রচার সংস্থা উকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ‘গোপন নথি ফাঁস’ করে বিশ্বব্যাপী আলোচিত ও সমালোচিত।
বার্তা কক্ষ, ২০ নভেম্বর ২০১৯