চাঁদপুরে জোর পূর্বক গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা ও বুকের স্পর্শকাতর স্থানে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম।
বুধবার (২০ জুলাই) বিকেলে এসপি শামুসুন্নাহার শহরের বড় স্টেশন যমুনা রোড টিলা বাড়ি এলাকায় অসহায় নারীর বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সাথে নিয়ে ছুটে যান এবং প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেন।
এসময় তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেনো তাকে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না। বিষয়টি তদন্তের সাথে সাথে অভিযুক্ত আসামীকে আটকের চেষ্টা চলছে। আসামিকে আটক করে তাকে আইনানুকভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে।
এসপি শামসুন্নাহার ওই এলাকায় মাদক বিক্রি এবং মাদকাসক্তদের বিষয়ে বলেন, মাদকের বিষয়ে এখন থেকেই আমাদের সকলকে সোচ্চার হতে হবে। যে খানেই মাদক সেখানেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আগমী কয়েক দিনের মধ্যে টিলা বাড়ি এলাকায় মাদক বিরোধী সমাবেস করা হবে, সেখানে আপনারা আপনাদের মনের কথা খুলে বলবেন।
এদিকে পুলিশ সুপার আসার আগে স্থানীয় এলাকাবাসী বিভিন্ন লেখা সম্ভলিত প্লেকার্ড হাতে নিয়ে অভিযুক্তের বিচারের দাবি জানান।
সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার চলে যাওয়ার পরে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের দেখে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বলতে বলেন, ‘আসামীদের আত্মিয়-স্বজনরা যদি এসপি স্যারের সাথে থাকে ভয়ে কেউ সত্যি কথা বলবে না।’
তারা আরো বলেন, অভিযুক্ত সুমন বেপারী স্থানীয় দুই কাউন্সিলরের আত্মিয়। আর এসপি স্যার আসায় ওনার আশপাশে স্থানীয় যে ক’জন প্রভাবশালী ঘুরঘুর করছে তাদের বেশীরভাগই মাদক বিক্রেতাদের সহযোগী। তাই তাদের উপস্থিতিতে অসহায়রা কখনোই সত্যি কথা বলতে চাইবে না।
প্রসঙ্গত গত (১৮ জুলাই) মঙ্গলবার রাত ৩ টার দিকে ক্লাব রোড এলাকার শওকত বেপারীর ছেলে সুমন বেপারী সিঁধ কেটে প্রতিবেশী টিলা বাড়ি এলাকার জেলে হারুন মিজির ঘরে ঢুকে তার স্ত্রী রুমা বেগম (২৫)কে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এসময় রুমা বেগম তাকে বাধা দিলে সুমন তার বুকের স্পর্শকাতর স্থানে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায়।
পরে আহতের ডাক চিৎকারে আস-পাশের লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।
বুকের স্পর্শকাতর স্থানে ছুরিকাঘাত করায় বর্তমানে রুমার ৯ মাসের শিশু দুধ পান থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে রুমা বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
রুমা বেগম জানায়, সোমবার দিনগত রাতে তার স্বামী নদীতে মাছ ধরতে গেলে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে একা ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত প্রায় ৩ টার দিকে সুমন বেপারী সিঁধ কেটে তাদের ঘরে প্রবেশ করে মুখে চাপ দিয়ে তাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। রুমা বেগমের ঘুম ভেঙ্গে গেলে ধর্ষণ চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় ছুরি দিয়ে সুমন তার শরীর স্পর্শকাতর স্থানে ছুরিকাঘাত করে।
রুমা বেগম লজ্জায় মুখ লুকিয়ে আরো জানায়, সুমন ছুরি দিয়ে তার বুকেও আঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হন। এমন আঘাতের কারণে তার ৯ মাস বয়সী ছেলে সন্তান জিহাদকে সারাদিনে বুকের দুধ খাওয়াতে পারছেন না। সুমন তার সন্তানকে মেরে ফেলার জন্যও চেষ্টা চালায় বলে রুমা বেগম জানায়।
পূর্বের নিউজটি পড়তে ক্লিক করুন…
প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম,
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১ : ২১ পিএম, ১৮ জুলাই ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ