ধর্ষণের মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় শ্রীমতি নন্দ রানী (৩৭) নামে ওই মামলার বাদীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৫ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার আনুমানিক দুপুর ২টায় জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. রুস্তম আলী এ রায় প্রদান করেন।
দায়ের করা ওই ধর্ষণের মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিয়ালা গ্রামের শ্রীমতি নন্দ রানী রাতে খাবার পর তার নিজ শয়নকক্ষে শুয়ে পড়েন। এরপর একই গ্রামের আবুল হায়াত আলী নামে পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তি তার শোবার ঘরে প্রবেশ করলে নন্দ রানী চোর চোর বলে চিৎকার করেন।
এ ব্যাপারে নন্দ রানী বাদী নিজে হয়ে পরদিন কালাই থানায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে মর্মে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিপোর্ট পেশ করলে মঙ্গলবার (আজ) দুপুরে আদালতে তাকে হাজির করা হলে তিনি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে স্বীকার করেন।
এ সময় বিচারক তাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৫ মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন এবং তার দায়েরকৃত কথিত ধর্ষণ মামলার আসামি আবুল হায়াত আলী কে এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস (অব্যাহতি) প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দায়ের করায় জয়পুরহাটে মোট ৩ জনকে (মামলার ৩ বাদী) বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছিল আদালত।
বার্তা কক্ষ,৫ জানুয়ারি ২০২১